মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা; গত  বুধবার অনুমানিক রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় একাধারে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল ২৫ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে এক-দুই ঘন্টা বৃষ্টি থামলেও সন্ধ্যা থেকে আবার শুরু হয় বৃষ্টি।

টানা বৃষ্টির কারণে বেড়েছে টাঙ্গন নদীর পানি। তাই নদীর ধারে বসবাসরত প্রায় পাঁচশত পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে । এতে পানি বন্দী পরিবার গুলো শিশুদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ।

পানি বন্দী হয়ে বসবাসকারী স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নদীর ধারে ঠিক মতো ব্লক ও বল্ডার স্থাপন না করায় ও পানি নিষ্কাশন এবং ড্রেনের ব্যবস্থা না করায় প্রতি বছর বর্ষাকালে তাদের বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে যায়।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিল, মেয়র ও নেতা কর্মীরা এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা একাধিকবার আশ্বাস দিটানা বৃষ্টিতে প্লাবিতটানা বৃষ্টিতে প্লাবিতলেও এখন পর্যন্ত তারা কোন ব্যবস্থা নেয় নি। তাই তারা সরকারের সহযোগিতা হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার জানান, সেখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য কিছু ড্রেন করা হয়েছে এবং আগমীতে আরও করা হবে। মূলত নদীর পানিতে তাদের বাড়ি ঘর প্লাবিত হচ্ছে। নদীর ধারে ব্লক দিয়ে বাধ তৈরী করে দেওয়া হলে তারা পানি থেকে রক্ষা পেতে পারে। আর এই বাধ ও ব্লক তৈরী করে বসানোর বরাদ্দ বা বাজেট আমাদের পৌরসভার নেই। সেটা পানি উন্নয়ন বোর্ডর কাজ। তাই তিনি এবিষয়ে সরকারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।

অন্য দিকে ২৫ জুন বৃস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলামের দপ্তরে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে প্রথমে কল ডুকলেও তিনি কল ধরেননি। পরে একাধিবার তার ফোনে কল ডুকানো চেষ্টা করলে তিনি কল ফোওয়ার্ডিং করে রাখেন ।

আমাদের বাণী ডট কম/২৬ জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।