রাজবাড়ীর কালূুখালী পয়েন্টে পদ্মার কমতে শুরু করেছে। বাড়ীর উঠান থেকে পানি চলে গেলেও আশপাশে এখনো পানি রয়েছে। বণ্যার্তদের কেউ কেউ ত্রান পেলেও অনেকে এখনো ত্রান পায়নি। পাবে কিনা তাও তারা জানে না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে,কালুখালী বণ্যার্ত ১৫ শ ৩৫ জন মানুষের জন্য একটি তালিকা প্রস্তত করা হয়েছে। এই তালিকায় রতনদিয়া ১১ শ ৬০ জন ও কালিকাপুরের ৩ শ ৭৫ জনের নাম আছে। তালিকাভ‚ক্তদের ৩০ কেজি করে প্যাকেটজাত চাল বিতরন করা হয়েছে।

কালিকাপুর ইউপির সদস্য বিল্লাল মন্ডল জানায়,কালিকাপুরের কালুখালী মৌজার ২ শতাধিক পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এখনো ত্রানের চাল পায়নি।

একই ইউনিয়নের নারায়নপুর মৌজার বাসিন্দা ইসমাহিল,কাজেম,আলামিন,কোরবান,শুভ,রফিক,ধনী,আজি ফকির জানালেন এখনো আমরা ত্রানের চাল পাইনি। গতবছর নদীতে জমিন ভেঙ্গে গেছে। এবার বণ্যায় বর্গা জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এসব দেখার কেউ নেই। আমাদের কোন রিলিফ দিলো না।

নারায়নপুর মৌজার স্কুল ছাত্রী সাহেরা খাতুন। সে কালুখালী আদর্শ উ”চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। সাহেরা জানায়,দ্রুত বণ্যার পানিতে বাড়ীঘর রাস্তা ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে। ঘরে সঞ্চিত খাদ্য না থাকায় তাদের পরিবারে চরম খাদ্য সংকট চলছে। একই গ্রামের শরিফা বেগমের ঘরের মাচার নিচে পানি এখনো পানি। ৪ সন্তান নিয়ে তিনি খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। ওই গ্রামের কনা খাতুন, ইতি আক্তার সবাই একই অবস্থা। কিন্তু রিলিফের চাল এদের ভাগ্যে জোটেনি। এরা রিলিফ পাবে কিনা তাও জানে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।