ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাঁশের সাঁকোই ৬ গ্রামের মানুষের ভরসা। উপজেলা শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদের উপর একটি ব্রীজের অভাবে বাঁশের সাঁকোই ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে জলিলপুর এবং ফতেপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ছয় গ্রামের সাধারন মানুষ।
প্রতিদিন দু’পাড়ের লোকজনকে অসহনীয় দূর্ভোগ পাড়ি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে হয়। বর্ষা আসলেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বর্ষার মৌসুমে এ দুর্ভোগ চরমে পৌছায়। ব্রীজটি তৈরী হলে ৬ থেকে ১০ হাজার লোক দুর্ভোগ ও ঝুকির হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে স্থানীয় জনসাধারন জানায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর এবং ফতেপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বেড়ের মাঠ, নীমতলা, ফতেপুর, কদমতলা, জুগিহুদা ও সড়াতলা গ্রামের প্রায় ১০হাজার মানুষ বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করছেন। এই সাকোঁতে ঝুঁকি নিয়ে মহেশপুর মহিলা কলেজ, সরকারি পাইলট বালক বিদ্যালয়, জলিলপুর ফাজিল মাদ্রাসা, জলিলপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও জলিলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে।
অভিভাবকরা জানান, বর্ষার সময় সাকোঁ ভিজে পিচ্ছিল থাকে। ছোট ছোট শিশুরা চরম ঝুকি নিয়ে পারাপার হয়। বর্ষায় সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঝুকির কারনে বর্ষা মৌসুমে সন্তানদের স্কুলে যাওয়া এক প্রকার বন্ধ করে দেওয়া হয়। যুগিরহুদা গ্রামের ব্যবসায়ী রফিকুল জানান, প্রায় তিন যুগ আগে ৬ গ্রামের জনসাধারন নৌকায় পারাপার হত। কিন্তু শীতের রাতে সময় সমস্যাটা বেশি হত। তাই একদিন গ্রামের লোকজন এখানে বাঁশের সাকো তৈরি করার সিন্ধান্ত নেয়। এরপর এখানে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয়।
যুগিরহুদা গ্রামের ইমরান হোসেন জানান, বাঁশের শতশত খুঁটি আড়াআড়ি গেড়ে ও দু’টি বাঁশের পাটাতন তৈরি কারে প্রায় সাড়ে পাঁচ’শ ফুট লম্বা সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। ফলে ব্রীজটির অভাবে শিক্ষা, চিকিৎসা এবং কৃষি ক্ষেত্রসহ সার্বিক ক্ষেত্রে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ব্রীজটি খুবই জরুরী বলে তিনি যোগ করেন।
মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক নেতা, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) বারবার যোগাযোগ করে কোন লাভ হয়নি। শুধুমাত্র আশ্বাস দিয়েছেন।
ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুজ্জামান খান জানান, জলিলপুর অংশে একটা ব্রীজের পরিকল্পনা আছে। যাতে দ্রুতই বাস্তবায়ন হয় সে ব্যাপারে চেষ্টা করব।
আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা