ডেস্ক রিপোর্ট ঢাকা; সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও তার ছেলে সাহেদ মুহিত সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবার।

  • সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তি ফেসবুকে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও তার ছেলে সাহেদ মুহিতকে জড়িয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি বলেছেন সাবেক এ মন্ত্রীকে তার নিজের বাড়িতে উঠতে দিতে চাইছিলেন না ছেলে সাহেদ মুহিত। ইতিমধ্যেই এ পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমের লেখাটি বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় মুহিত পরিবারের নজরে আসে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে তার এপিএস তানভির আহমেদ এ সংক্রান্ত প্রতিবাদলিপি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের জন্য পাঠান।

  • আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তার ছেলে শাহেদ মুহিত সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে পরিবারের প্রতিবাদটি নিচে তুলে ধরা হলো।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং তার পরিবারের ব্যাপারে একটি তথাকথিত সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।

  • সাবেক মন্ত্রী মুহিত একাধারে একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী, যিনি তার পুরো জীবন দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করেছেন। তার ছেলে শাহেদ মুহিত এবং তার পরিবারও দেশের প্রতি আত্মনিবেদনের একই শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ এবং সিলেট ও গোটা বাংলাদেশে তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সফল দীর্ঘকালীন অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় ও দেশ-বিদেশে প্রশংসিত অর্থনৈতিক উন্নয়নে যার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে শাহেদ মুহিত সর্বতোভাবে তার বাবার পাশেই রয়েছেন এবং তাকে পারিবারিক, রাজনৈতিক এবং অন্যান্য সব ব্যাপারে সহায়তা করেছেন।

এছাড়া বাবার নির্বাচনী এলাকা সিলেট-১-এর এলাকাবাসীদের পাশে শাহেদ মুহিত সবসময় ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।

  • জানা গেছে, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারি সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বড় ছেলে শাহেদ মুহিতের সম্পর্কেও অবনতি নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। ওই লেখায় তিনি পিতা-পুত্রের মধ্যে সম্পদ নিয়ে বৈরিতা এবং পরবর্তী সময়ে প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে বাড়িতে স্থান পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

লেখাটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ফজলুল বারির মত একসময়ের খ্যাতিমান সাংবাদিকের কাছ থেকে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং কোনো পক্ষের কথা, তথ্য সূত্র ছাড়া লেখার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আমাদের বাণী ডট কম/২৬ জুন ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।