মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয় মাঠ পর্যায়ে নির্বাচিত মাদরাসাসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি মাদরাসাকে ভোকেশনাল সেন্টারে পরিণত করা হবে। এতে করে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বেকার থাকবে না। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দেশের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রচুর দক্ষ শ্রমিক বিদেশে কাজ করে কিন্তু তাদের কোনো সার্টিফিকেট না থাকায় তারা অন্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে কম বেতন পান। সরকার এই বিষয়টি মাথায় রেখে সব দক্ষ শ্রমিকদের সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যবস্থা করবে। যুব সমাজকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয়া হবে। কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে এসব সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতে সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারবে না। আমাদের কোমলমতি শিশুদের অনিবন্ধিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের বর্ণিত সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। এ কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মিত সব অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং প্রকল্প এলাকার স্থানীয় যুবক-যুবতীদের প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

কর্মশালায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচিত মাদরাসাসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ১৮০০ মাদরাসার নতুন ভবন তৈরি করা হবে। প্রত্যেক মাদরাসার ভবন নির্মাণ করতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ঐ মাদরাসার এলাকার শিক্ষার্থী এবং আশেপাশের বেকার যুবকরা এই ভবন নির্মাণের সময় প্রাকটিক্যাল দক্ষতা নিতে পারবেন। এ জন্য কারিগরি বোর্ড তাদেরকে সার্টিফিকেট দিবে। প্রত্যেক ভবণ নির্মাণের সময়ে কমপক্ষে ৫০ জন দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা হবে। শুধু মাত্র এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৯০ হাজার দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।