স্কুলছাত্রীর ধর্ষণ চেষ্টার ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আপস মিমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে পঞ্চগড় গণপূর্তের কর্মচারী ফজলুল হক সাগর। ফলে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে বাধ্য হচ্ছে নির্যাতিতের পরিবার। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জড়িত কাউকেই ছাড় নয় বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত বছরের নভেম্বরে এসএসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে পরিত্যাক্ত একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে পঞ্চগড় গণপূর্ত বিভাগের প্রহরী ফজলুল হক সাগর। ভিডিও ধারণের পর তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছয় মাস ধরে তকে যৌন নির্যাতন চালায় সাগর। সম্প্রতি মেয়েটি তার কথা না শোনায় ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত যুবক।

এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে নির্যাতিতার পরিবার। এর পরই সাগরসহ দুই আসামিকে গ্রপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু আপস মিমাংসাস ও মামলাটি দুর্বল করার জন্য মেয়েটির পরিবারকে চাপ দিচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত সাগরের পরিবার। আর পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্ত সাগরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে পঞ্চগড়র গণপূর্ত বিভাগ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।