চক্ষুশূল

জাহাঙ্গীর বাবু

কবি গিরি করিনা ভাই,কবি নইতো আমি
কবিতার মতো মনের কথা ফেসবুকে ফাঁস করি।
উর্দু হিন্দি ফার্সী ইংরেজী,কতো কবিতাই শুনি
বাংলা কবিতাই লাগে ভালো বাংলা কবিতাই পড়ি।

সকাল বেলার পাখি হতে বলেছিলো বিদ্রোহী কবি
বিশ্ব কবির সংগীতে দেশ প্রেম জাগ্রত করি।
সাগর দাড়ির হাওয়া লাগে মেঘনার নদীর ধারে
ক্ষুদা যখন উদরে, লাল সুর্য্যের তাপ লাগে।

স্বাধীনতার চেতনা খুঁজি বাংলা ভাষার নির্যাসে
পড়িনা,জানিনা,অকবি হবার থাকিনা আফসোসে।
কবি হতে আসিনি বহুবার বলেছি,
আসিনি নেতা হতে, উঁচু, নীচু, বড়,ছোট অগোছালো
শব্দের জটলাকে কেউ ভুলে কবিতা বললে, দোষ কি আমার তবে!

কাব্যের ঠিকা নয়তো প্রবাসি শ্রমিকের
ঘামের কালিতে কস্টের শব্দের আঁকি বুকি
কাব্য কলা থাক গুনীদের,যারা সকাল বিকাল জ্ঞান বিতরণ করে।

লজ্জা নেই, লজ্জা নাই,কষ্ট পায় অস্বীকৃত শব্দ সন্তান উত্তর সুরী একুশের বর্ণ মালা!
থাকতেন যদি বেঁচে আজ কবি গুরু রবি ঠাকুর,বিদ্রোহী নজরুল, দেখিতেন নবীন,প্রবীনে কেমনে একে অন্যেকে বিবস্র করে।

লিখে দাও,উইল করে দাও গুরুদের কাব্যের জমিদারী,
আমরা না লিখব,অকবিতামাথায় নিয়ে অকবির গালি।
চুরি করিনা,কপি করিনা,কষ্ট যন্ত্রনার সঙ্গমে
জন্ম দেই মস্তিস্কের ভ্রুনঅর্বাচীন কথামালা।

চক্ষুশূল,
কেন লিখি অশ্রাব্য অপাংতেয় লেখা,
জ্ঞানী মহাজ্ঞানী জানেনা
আমার শব্দ কারো তাবেদারী করেনা।
শ্রম দিয়ে সচল রাখি অর্থনীতির চাকা
পেশা নয়,নেশা আর ভালোলাগার মিশ্রনে লেখা।

মায়ের ভাষার ফেরী করি,একুশ,একাত্তর অন্তরে
লাল সবুজের পতাকার মান উজ্জ্বল করি দেশ দেশান্তরে।

রাজবাড়ী টাইমস-আ.আ.হ/মৃধা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।