রুমি নোমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া;  ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের ধীর গতির জন্য অনলাইনে জরুরী কার্যক্রম সম্পাদন করা দুষ্কর হয়ে উঠে। এমতাবস্থায় অনলাইন ক্লাস চালু হলে মন্থর গতির ইন্টারনেটে সংশ্লিষ্ট কোর্সে অস্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি হবে। আধো-আধো জ্ঞান নিয়েই সমাপ্ত হবে একেকটি কোর্স। ফলে দেশ পাবে অপরিপক্ক গ্রাজুয়েট।’
আজ শুক্রবার (০৮ মে ২০২০)  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার নেতৃবৃন্দ এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন হিসেবে পরিচিত পেয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সেশনজট নিরসনের নামে অনলাইন ক্লাস পদ্ধতির যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মর্মাহত করেছে।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আগামী ৬ জুন, ২০২০ পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবু শিক্ষার্থীমত উপেক্ষা করে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ভাবিয়ে তুলেছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এমন খোঁড়া পদ্ধতির পাঠদান কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এমতাবস্থায় অনলাইন ক্লাস পদ্ধতির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেশন জট কমাতে গত ২৮ এপ্রিল অনলাইনে ক্লাস পপরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যে ক্লাস শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ব্যাপকভাবে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে বলেও জানা গেছে।
আমাদের বাণী ডট/০৮ মে ২০২০/পিবিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।