ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা; সম্মানিত প্রাথমিক শিক্ষক মন্ডলীগণ প্রতি কিস্তিতে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ শেষে আপনারা প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই কম বেশি কিছু কমন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। যেমন : মোবাইলে ম্যাসেজ আসে না, টাকা পায় না ইত্যাদি। এবার যেহেতু একজন সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর অনুকূলে কিডস অ্যালউন্সসহ দুই কিস্তির অর্থ বাবদ প্রায় ১,৯০০ টাকা করে প্রদান করা হবে সেহেতু কোন অভিভাবক টাকা না পেলে আপনাদেরকে আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

এই সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণে কিছু পরামর্শ প্রদান করা হলো :

১। যে সকল অভিভাবকগণের বিগত কিস্তিতে এ সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল তাদের মোবাইল নাম্বারগুলো সঠিক আছে কি-না প্রয়োজনে একটু ফোন করে যাচাই করে নেয়া। সঠিক না থাকলে একটি সঠিক নাম্বার চাহিদাপত্রে এড করা।

২। নতুন সুবিধাভোগী হিসেবে ২০২০ সালে যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাদের মোবাইল নাম্বারগুলো গুরুত্ব সহকারে যাচাই করে নেয়া (প্রয়োজনে ১০ সেকেন্ড করে হলেও কল দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেয়া)।

৩। পোর্টাল থেকে ডাউনলোড করে পাওয়া চাহিদাপত্রের সফট কপিতে নতুন সুবিধাভোগীদের তথ্যগুলো সঠিকভাবে এন্ট্রি করা ও ভালো করে যাচাই করে নেয়া এবং পুরাতন সুবিধাভোগীদের টাকার পরিমাণ সঠিক ভাবে এন্ট্রি করা। সকল তথ্য সঠিক থাকলে পোর্টালে আপলোডের জন্য সফটকপিটি উপজেলায় প্রেরণ করা (এক্ষেত্রে প্রিন্ট কপি না রাখলেও চলবে)। পোর্টালে চাহিদাপত্রটি আপলোডের সময় যদি Error আসে তবে তা প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক Solve করে নেয়া। সফলভাবে আপলোড সম্পন্ন হলে পোর্টাল থেকে চাহিদাপত্রটি পুনরায় অবশ্যই ডাউনলোড করে সংগ্রহ করা ও এর প্রিন্ট কপি বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করা (পিডিএফ ফরম্যাটে হলে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে)। এবার এই প্রিন্ট কপিটি একবার যাচাই করে নিল ভালো হবে কারণ এতে কোন অসংগতি পরিলক্ষিত হলে পোর্টাল লক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সংশোধনের সুযোগ পাওয়া যাবে।

৪। মোবাইল নাম্বার প্রদানের ক্ষেত্রে পিতা/মাতার নিজ নামে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বার দেয়া উত্তম। এতে অনেক জটিলতা কমে যাবে।

৫। উপরোক্ত সকল সতর্কতার পরেও টাকা ডিসবার্স হওয়ার পর যদি কারো ভুল নাম্বারে টাকা সেন্ড হয়েছে তা চিহ্নিত হয় তাহলে জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে একটি নতুন সঠিক, সচল মোবাইল নাম্বার দিয়ে ঐ ভুল নাম্বারটিকে ফ্রিজ করে দিতে হবে। ভুল নাম্বারের গ্রাহক যদি টাকা উত্তোলন না করে থাকে তাহলে নতুন প্রদত্ত নাম্বারটিতে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ভুল নাম্বার থেকে নতুন নাম্বারে টাকা স্থানান্তর করা হয়ে থাকে।

৬। কেউ কেউ টাকা উত্তোলনের জন্য বিকাশ এজেন্টের নিকট যান। বিকাশ এজেন্টরা বিকাশ ওয়ালেট (*247#) যাচাই করে বলে দেন যে, টাকা নাই। এক্ষেত্রে অভিভাবকগণ যেন শিওরক্যাশ এজেন্টদের নিকট টাকা উত্তোলন করতে যান এ বিষয়টি অভিভাবকদের অবহিত করা। আবার অনেক সময় নেটওয়ার্ক সমস্যা জনিত কারণে SMS নাও আসতে পারে, এক্ষেত্রে SMS না আসলেও একাউন্টে ঠিকই টাকা জমা থাকে যা *495# নাম্বারে ডায়াল করে দেখা যায়। একাউন্টে টাকা জমা থাকলে পরবর্তীতে যেকোন সুবিধাজনক সময়ে টাকা উত্তোলন করা যায় ।

আশা করি উপরোক্ত প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করলে এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। পোর্টালে যথাযথভাবে চাহিদা আপলোড করা হলে, মোবাইল নাম্বার সঠিক ও সচল থাকলে টাকা না পাওয়ার সম্ভাবনা শূন্য পারসেন্ট। এরপরও বিতরণ সংক্রান্ত কারো কোন সমস্যা থেকে থাকলে স্ব-স্ব উপজেলা শিক্ষা অফিসের পোর্টাল থেকে তথ্য যাচাই করে নেয়ার সুযোগ আছে। “প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ যেমন উত্তম, তেমনি ভুল হলে সংশোধনের পেছনে দৌড়ানোর চেয়ে সতর্কতার সহিত সঠিক ভাবে কাজটি সম্পন্ন করাই উত্তম।’ সংগৃহীত — মোহাম্মদ সোহেল মোল্লা, মনিটরিং অফিসার, সিলেট।

আমাদের বাণী ডট/০৮ মে ২০২০/পিবিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।