অবসরের বয়সসীমা যেহেতু বাড়ানো হয়েছে, সেহেতু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অবশ্যই বাড়ানো দরকার। আমরা সরকারের কাছে বেতনও চাই না, ভাতাও চাই না। আমরা শুধু চাকরিতে আবেদনের জন্য ৩৫ বয়সসীমা চাই। আর এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।

সোমবারজাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন থেকে সব কথা বলেন বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে অনশনে অংশগ্রহণকারীরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে তারা সেখানে চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে অনশন করছেন। এদিন সোমবার তৃতীয় মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এদিন তাদের দুইজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা হলেন, ঢাকা কলেজের ফাতিন এলাহী ও ফরিদপুরের শরীফ।

অনশনে অংশ নেয়া জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি। এটা এখন সময়ের দাবি। আর এ দাবি আদায়ে আমরা গত শনিবার থেকে টানা অনশন পালন করছি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।

তিনি বলেন, আমরা যে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর সেশনজটের শিকার হলাম। এটা সরকারকে ভাবতে হবে। তাই আমরা চাই ৩৫ বয়সসীমা করা হোক। আর এটা ৪১ বিসিএসের আবেদনের আগে কার্যকর করা হোক। অর্থাৎ এ ডিসেম্বরের মধ্যে করা হোক। অন্যথায়, আমরা রাজপথ থেকে সরবো না।

অনশনে অংশ নেয়া বিজিত শিকদার এডুকেশন বাংলাকে বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে ১ দিনের সেশনজট না থাকার পরেও সেখানে বয়সসীমা ৩৫ করা হয়েছে। তাহলে কেন এদেশে সেশনজট থাকা সত্ত্বেও বয়সসীমা বাড়াতে এতো টালবাহানা ? শিক্ষার্থীরা মেধা দিয়ে চাকরি পাবে। এক্ষেত্রে বয়স দিয়ে তাদের আটকে রাখা ঠিক না। তাই বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে।

এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে অনশন পালন করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ আট বছর যাবত এই দাবি সরকারের কাছে পেশ করলেও সরকার কেন এখনো আমাদের এই দাবিটি কেন মানছে না তা আমাদের বোধগম্য নয় । আমাদের শিক্ষা জীবনে অনার্স মাস্টার্স মিলিয়ে প্রায় ৩৫ বছর দেশের বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের মাস্টার্স ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। চাকরিতে বয়স ৩৫ না থাকার কারণে বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা একাডেমিক পড়াশোনার মনোযোগী না হয়ে শুধুমাত্র চাকরি নামক প্রতিযোগিতার জন্য পড়াশোনা করছে। যার ফলে মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন হচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।