আমাদের বাণী ডেস্ক, ঢাকা;  সরকার শিক্ষার সকল স্তরে সমান সুযোগ সৃষ্টি ও শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিরর মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়নসহ নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছিল কিন্তু তা বাস্তবায়ন না করে শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে চলছে।

সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে বিশ্বের আর কোন দেশে বেসরকারী শিক্ষাব্যবস্থা নাই, এই দেশ ছাড়া, যা আমাদের জন্য লজ্জাকর কারণ স্বাধীনতা ৪৮ বছর পরেও ৯৭% বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা।

সারাদেশে পাঁচ লক্ষাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী বৈষম্যের সীমাহীন বেড়াজালে রয়েছে।

কারণ ২২জানুয়ারি ২০০৪ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষককর্মচারীদেরকে প্রথম ২৫% ঈদবোনাস প্রদান করা হলেও আজ দীর্ঘ ১৬ বছরেও এর কোন পরিবর্তন নেই। অথচ ঈদ এলেই শিক্ষক কর্মচারীদের দুঃখ দুর্দশা বেড়ে যায় কারণ ২৫% ঈদ বোনাস দিয়ে শিক্ষকগণ তাদের স্ত্রী পুত্র ও ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে ঈদের আনন্দটুকু উপভোগ করতে পারেন না।

শিক্ষক-কর্মচারীগণ দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ১০০টাকা বাড়ি ভাড়া পেয়ে আসছিলেন।২০০৮ সালে তীব্র আন্দোলন করলে বর্তমান সরকার দীর্ঘ ৪০ বছর পর বাড়ি ভাড়া৫০০টাকায় উন্নীত করেন।তার পরে ২০১৫ সালে জাতীয় পে-স্কেলে বাড়ি ভাড়া ১০০০টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০টাকা প্রদান করা হয়।

তারপর সরকারি বেসরকারী বৈষম্যের মধ্যে রেখে ৫ % বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা দেওয়া হয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের।
তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার সকল বৈষম্যের অবসানসহ জাতীয়করণ চায় পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারী মুজিব বর্ষে।

লেখক, মো. তোফায়েল সরকার

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।