আমাদের বাণী ডেস্ক, ঢাকা;  জীবননাশী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শংকায় সারাদেশের কোটি কোটি মানুষ। ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীতে মারা গেছে হাজার হাজার মানুষ। সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে শিশুদের জীবন রক্ষায় সরকারিভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। ইতিমধ্যে তা অভিভাবক মহলে প্রশংসা পেয়েছে।

শুধু তাই নয় কোচিৎ সেন্টার গুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্ত আদেশ মানছেন নারায়গঞ্জ  সদর উপজেলার সলঙ্গার ধুবিল মেহমানশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালন করে আসছেন। এবং প্রতিষ্ঠানে তোলা হয়েছে জাতীয় পতাকা।

আজ বুধবার (১৮ মার্চ ২০২০) সকালে এই দৃশ্য এলাকার অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জানাজানি হয়ে যায় সংবাদকর্মীদের মাঝে। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। নাম প্রকাশে কয়েকজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, জোরকরে তাদের ক্লাসে আসতে বাধ্য করছেন প্রধান শিক্ষক। তারা আরো জানায়, স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের স্কুল থেকে বেড় করে দেয়া হবে। এই হুমকীর মুখে তারা স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, সদমস্ত শিক্ষক উপস্থিত। প্রধান শিক্ষক কাজে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। কয়েকজন শিক্ষক জানান, তারা প্রতিবাদও জানিয়েছেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক কিছুতেই মানেননা সরকারি নির্দেশনা। প্রধান শিক্ষক এমন কথা বলেন সকল সরকারি নিয়ম মেনে চললে প্রতিষ্ঠান চালানো যাবেনা। করোনা ভাইরাস সস্মর্কে প্রধান শিক্ষক সাধারণ শিক্ষকদের জানান, এটা সরকারের একটা চালবাজি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আসতে দেবে না সাধারণ মানুষ এই অজুহাতে সরকার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।

কয়েজন সাংবাদিক প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী খানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আপনারা এত খারাপ কেন। আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি আর খোলা রাখি সেটা আমার ব্যাপার । সরকারের সব সিদ্ধান্ত মেনে আমার স্কুল চালাতে পারবোনা। আপনারা যা পারেন করেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীমুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অনেক অভিযোগ এসেছে। তিনি আরো জানান, আমার সামনেই শিক্ষা কর্মকর্তা বসে আসেন আমি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি। সূত্র আমার সংবাদ

আমাদের বাণী ডট কম/১৮ মার্চ ২০২০/সিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।