শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমি আমার বোনের সাথে গার্লস স্কুলে পড়েছি। সেখানে সে নিয়মই ছিলো। এখানে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, আমার স্কুলের নাম ছিল বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

তিনি আরও বলেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছে “আমি গার্লস স্কুলে কেন পড়েছি”। যারা এটা নিয়ে লজ্জা করবে তারা আমাদের মেয়েদের পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তাদের মানসিকতার সমস্যা আছে।

তাই আমি চাই, তোমরা সবসময় লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেবে। যে যাই বলুক, আজকের একজন প্রতিষ্ঠিত নারী দেশ ও জাতির গর্ব। আমাদের মাননীয় স্পিকার, শিক্ষা মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। তাই তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবীন বরণ ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে মেয়েরা যেই হারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, সেই পরিমাণে কাজে-কর্মে আসতে পারছে না। কেননা বিভিন্ন কারণে তারা সাহস হারিয়ে ফেলছে।

তোমাদের ওপর রাষ্ট্র লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। তাই তোমাদের কর্মমুখী হওয়া দরকার। কোনো ধর্মেই নারীদের কর্মে বাধা দেওয়ার ব্যাপার নেই। যারা এই বাধা-নিষেধ দিচ্ছে তারা মেয়েদের পিছিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।

এদিন শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছে মর্গ্যান গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবকাঠামোগত কিছু দাবির কথা তুলে ধরয়া হলে তিনি বলেন, আপনাদের যেই দাবি থাকুকনা কেন আমি আশ্বস্ত করতে চাই শেখ হাসিনার সরকারের কাছে কোনো দাবিই অপূর্ণ থাকবে না।

এই বিদ্যালয়ের ডিজাইন দেখে আমাদের শিক্ষা প্রকৌশলী অবশ্যই একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। আর একাডেমিক স্বীকৃতির বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো। যেসব বিধিবিধান আছে সেসব দেখে ব্যবস্থা নেবো।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নওফেল আরও বলেন, আজ তোমরা একটি ঐতিহাসিক সময়ে এখানে উপস্থিত হয়েছ। কারণ এটি হচ্ছে মুজিববর্ষ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একশ’ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

আমরা তার জন্মের একশ’ বছর পর তা উদযাপন করে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা তার জন্য কতোটা ধন্য, কতোটা কৃতজ্ঞ। তিনি না হলে এগুলোর কিছুই সম্ভব হতো না।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সভাপতি ও স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, অধ্যক্ষ অশোক কুমার সাহা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।