উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা সংবাদদাতা; জেলার সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের নিরালী গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে প্রায় ২০ একর জমির পানের বরজ ধ্বংশ হয়ে গেছে।  ক্ষতি হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার। মথায় হাত উঠেছে পান চাষিদের।

  • নদীর কুল বর্তী এলাকায় বসবাসরত গরীব অসহায় পরিবার গুলি পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পান বিক্রি করে চলে তাদের মানবতার জীবন যাপন। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্নিঝড় আম্ফানের কারনে তাদের পান বিক্রি করে সংসার চালানোর সপ্নটা যেন বিফল করে দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পানের গাছ গুলি মাটিতে শুয়ে আছে। প্রায় ২০ একর জমিতে পড়ে আছে শুধু লতায় ভরা পান পাতা। নীরভ দর্ষকের মত তাকিয়ে আছে কৃষকেরা। নিরালী গ্রামের পান চাষি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, পান চাষের উপর আমাদের সংসার। পানের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে এই গাছ খড়ি দিয়ে মাচা তৈরী করতে প্রায় ১ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এই টাকা আমি কই পাবো। এক দিকে করোনা মহামারীর জন্য কর্মহীন হয়ে পড়েছি। অন্যদিকে ঝড়ে পানের ক্ষতি। আমাদের বেঁচে থাকার আর কোন পথ রইল না।

  • পান চাষে ক্ষতিগ্রস্থ , সুফল সিকদার বলেন, প্রতিবছর আমি পান বিক্রি করি প্রায় ৫ লক্ষ টাকার। ঘূর্ণিঝড় এর কারনে এ বছর আমার এ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় পান গাছ গুলি মাচা করে বড় করতে আমার ১ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এ টাকা আমি পাবো কই।

একই গ্রামের পান চাষি অমর সিকদার। বিন্দবন সিকদর। মিঠুন বিশ্বাস। দিলিপ সিকদার সহ অর্ধশত পরিবার যাদের পান চাষ ছাড়া আয়ের আর কোন উৎস নেই। চরম বিপাকে পড়েছেন সেই সকল পরিবর গুলি। এ পান চাষের জন্য সহায়তায়র দাবি জানিয়েছেন পান চাষিরা।

আমাদের বাণী ডট কম/০৪ জুন ২০২০/সিসিপি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।