বাগেরহাট সংবাদদতা;  সুপার সাইক্লোন আম্ফানের স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস, অতিবর্ষণে ও পানির তোড়ে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৬৩৫ চিংড়ি খামারের মাছ ভেঁসে গেছে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমান ২ কোটি ৯০ টাকা।

গত বুধবারের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে জেলার রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলাতে চিংড়ি খামারের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে জেলার হাজার হাজার চিংড়ি চাষী।
বাগেরহাট জেলায় ৭৮ হাজার ১০০টি মাছের ঘের রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের প্রায় ৩৩ হাজার মেট্রিকটন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় জেলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে।

চাষীরা বলছেন, ঝড়ে জেলার কোথাও কোথাও ভেড়িবাঁধ ও রাস্তা উপচে এবং কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে মাছের ঘের ভেসে গেছে , এতেবেরিয়ে গেছে ঘেরের মাছ । ফলে আমরা দারুণ আর্থিক ক্ষতির মূখে পড়েছি। সরকারী ভাবে ক্ষতি ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তবে বেসরকারী হিসেবে এক্ষতির পরিমান আরোও বেশি বলে জানিয়েছেন চিংড়ি চাষীরা।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানান , প্রাথমিক হিসাবে ঝড়ে জেলার ৪ হাজার ৬শত ৩৫টি মৎস্য ঘের ভেঁসে গেছে। সব থেকে বেশী ক্ষতি হয়েছে মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও উপজেলায়। এতে জেলার কয়েক হাজার চিংড়ি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকারী ভাবে ক্ষতি ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় জেলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/২২ মে ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।