ঈদ-উল-আযহা মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। এ ঈদের সাথে পশু কোরবানীর বিষয়টি সম্পৃক্ত। ঈদ-উল-আযহাকে কোরবানীর ঈদও বলা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ঈদ-উল-আযহায় পশু কোরবানী দিয়ে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে পরম করুনাময়ের সান্নিধ্য লাভ করার চেষ্টা করেন।

দেশে প্রায় ৫ লাখ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। যার অধিকাংশই মুসলমান। অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো তারাও ঈদ-উল-আযহায় পশু কোরবানী দিয়ে থাকেন। কোরবানীর ঈদ যতই ঘনিয়ে আসে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ ততই বাড়তে থাকে। এর কারণ হলো বেতন বাবদ এমপিও এবং মূল বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাওয়ার সময়। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের সমপরিমান উৎসব ভাতা ও বেতন ঈদের অনেক আগেই তুলে ফেলেন। তাঁরা নিশ্চিন্তে কোরবানীর পশু ক্রয় করে থাকেন। অপরদিকে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা ঈদের দুই-চার দিন আগে এমপিও ও বোনাসের টাকা পান। এ অবস্থায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পক্ষে কোরবানীর পশু ক্রয় করা কতখানি সম্ভব তা কি কর্তৃপক্ষ কখনও ভেবে দেখেছেন?

বেতন ও উৎসব ভাতার টাকায় অনেক বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পক্ষে এককভাবে পশু কোরবানী দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। ধর্মীয় বিধিবিধান মেনেই শিক্ষকদের অনেকে ভাগে কোরবানী দিয়ে থাকেন। দেরিতে বেতন ও উৎসব ভাতা পাওয়ায় অনেক সময় ভাগেও কোরবানী করা সম্ভব হয় না শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে। নির্বিঘ্নে কোরবানী দিতে ঈদ-উল-আযহার অন্তত পনেরো দিন আগে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ও মূল বেতনের সমপরিমান ঈদ বোনাস দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ যদি একটু আন্তরিক হয় তাহলেই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ-উল-আযহা নিয়ে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দূর হতে পারে বলে আমি মনে করি।

লেখক: শিক্ষক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।