ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে কক্সবাজারে ৪ নম্বর সংকেত অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ‘বুলবুল’ প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টা থেকেই উপকূলীয় জেলা বরগুনার উপজেলা পাথরঘাটায় বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় বেলা ১১টার দিকে জরুরি সভা ডেকেছে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ও জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া  বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় শতশত ট্রলার। আবহাওয়া খারাপ দেখে ইতোমধ্যে বেশ কিছু ট্রলার ঘাটে এলেও এখনো দেড় শতাধিক ট্রলার গভীর সমুদ্রে রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সম্মেলনে কক্ষে জরুরি সভা ডাকেন। সভায় দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর প্রভাবে বরগুনায় সকাল থেকে মাঝারি ও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। বিকেল ৩টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা অনু‌ষ্ঠিত হয়েছে। এতে বি‌ভিন্ন সরকা‌রি ও বেসরকা‌রি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং উন্নয়ন সংগঠনের প্র‌তি‌নি‌ধিরা অংশগ্রহণ করেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।