কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মহেন্দ্রপুর অভিমুখী প্রধান সড়কে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত গড়ের মাঠ ব্রীজটি ভগ্নদশায় উপনীত হয়েছে। শুক্রবার ৮ নভেম্বর আরেকটি দুর্ঘটনা যুক্ত হলো ব্রীজটিতে খড় ভর্তি করিমন পানিতে পড়ে যায়। এভাবে প্রতিদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটে ব্রীজটির উপর।

এ যেন মৃত্যু ফাঁদ প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা এখানে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রশাসন কেন নিরব কেন দেশে যখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে সব জায়গায় কাজ হলেও এই ব্রীজটি কেন নতুন করে নির্মিত হয়না? হাজার কেনোর উত্তর পেতে এলজিইডি কার্যালয়ের কুমারখালী উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুব আলমের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এপর্যন্ত তিনবার উল্লেখিত ব্রিজটির টেন্ডার আবেদন করা হয়েছে কিন্তু কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেনা। ৮০ ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট চওড়া ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় বরাদ্দ আছে ২ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। তাহলে কেন কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেনা এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা গেল এটা পিসি গার্ডার ক্যাটাগরিতে নির্মাণ করতে হবে আরসিসি ক্যাটাগরিতে নয়।

সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতু যে পদ্ধতিতে নির্মিত হয়েছে সেই পদ্ধতিতে এই ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা আছে। যে কারনে ছোট খাটো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেমন সাহস পাচ্ছে না তেমনি বড় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছেনা এভাবেই বছরের পর বছর কাজটি ঝুলে আছে এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ।

মাহাবুব আলম আরো জানান, খুব শীঘ্রই আবারো ব্রিজটির টেন্ডার হবে। তাহলে কি ব্রিজটির সরকারি বরাদ্দ আসলেও কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবেনা? নাকি উল্লেখিত ব্রিজটির উপর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটলে সমাধান হবে এমনই প্রশ্ন সাধারণ জনগণের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।