নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে ৯৫ শতাংশ আসন উন্মুক্ত থাকবে। ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য। এটি ছাড়া বাকি সব কোটা বাতিল করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা-২০২০ খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ভর্তির জন্য এসএমএস পদ্ধতিতে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। আবেদন করতে হবে অনলাইনে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০)  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রাজধানীর কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষ।

এই নীতিমালা অনুযায়ী চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আগামী ১০ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। ১ জুলাই থেকে পরবর্তী শিক্ষা বছরের একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।

সভায় উপস্থিত একাধিক অধ্যক্ষ বলেছেন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও ব্যয় কমাতে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করে শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একজন ভর্তিচ্ছু অনলাইনে ১০টি কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। এর জন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। আগে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনের জন্য ১২০ টাকা ফি নেয়া হতো। এবার এসএমএস পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় এই টাকা খরচ হবে না।

নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে একাদশ শ্রেণির প্রথম ধাপের ভর্তি আবেদন আগামী ১০ থেকে ২০ মে পর্যন্ত নেয়া হবে, ২৭ থেকে ৩১ জুন যাচাই-বাছাই, আপত্তি ও নিষ্পত্তি কার্যক্রম চলবে। ৮ জুন প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। তবে পুনঃনিরীক্ষায় এসএসসি পরীক্ষা ফল পরিবর্তনকারীরা ১ জুন থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে ১৭ জুন, ২০ জুন শেষ হবে। একইদিন রাত ৮টার পর এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপে ২৩ জুন আবেদন শুরু হয়ে ২৫ জুন পর্যন্ত চলবে। ২৫ জুন রাত ৮টার পর এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে।

খসড়া নীতিমালায় দেখা গেছে, শতভাগ মেধা কোটা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ কোটা হিসেবে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা হয়েছে। বিকেএসপি ০ দশমিক ৫ এবং প্রবাসী ০ দশমিক ৫ শতাংশ কোটা, বিভাগীয় ও জেলা সদর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরসমূহের কোটা বাতিল করা হয়েছে।

এবারও ঢাকা মহানগর এলাকায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন প্রতিষ্ঠানের বাংলা মাধ্যম ভর্তির জন্য ৯ হাজার ও ইংরেজি মাধ্যমের ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি করা যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়াও মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে ২ হাজার টাকা, ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মহানগর এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়।

আমাদের বাণী ডট কম/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০/ প 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।