নিজস্ব সংবাদদাতা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পেশাজীবী সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ নির্বাচন কমিশনকে’ তৎপরতা বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০) পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেস এন্ড মিডিয়া উইং আনন্দ কুমার সেন সাক্ষরিত এক সংবাদ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে আনন্দ কুমার সেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেক স্যার দীর্ঘদিন ধরেই চাচ্ছেন উভয় পক্ষ এক হয়ে কাজ করুক। কিন্তু অন্য পক্ষটি সম্মত না হয়ে, গায়ের জোরে নতুন একটি ইউনিট খুলেছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে মালেক স্যারের নির্দেশে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলো।’
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. এস এ মালেক গত ৩১ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন। এতে সভাপতি হিসেবে আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন মনোনিত হন।
অনুমােদনের পর থেকে উক্ত কমিটি যথারীতি কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শ মােতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইতােমধ্যে এ কমিটি বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে।
এমতাবস্তায় কেন্দ্রীয় কমিটি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ নির্বাচন কমিশন’ নামে একটি সংগঠন হঠাৎ করে তৎপরতা শুরু করেছে। এই কমিশন নামধারী প্রতিষ্ঠানটি ‘কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ (শিক্ষক ইউনিট) নামের আরেকটি সংগঠনের জন্য নির্বাচন ঘােষণা করেছে। কে বা কারা, কি উদ্দেশ্যে এ ধরনের কমিটি গঠন করেছে ও তৎপরতা চালাচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি তা একেবারেই অবগত নয়।
যেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমােদিত সেখানে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নামে বা বঙ্গবন্ধু পরিষদের নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম হীন উদ্দেশ্য, ব্যক্তি ও মহল বিশেষের বিশেষ কোন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে বলে কেন্দ্রীয় পরিষদ মনে করে। তাছাড়া, বঙ্গবন্ধু পরিষদ (শিক্ষক ইউনিট) নামে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোন শাখা নেই। একই সাথে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি এ ধরনের কোন সংগঠনের স্বীকৃতি দেয় না।
‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ নির্বাচন কমিশন’-কে এ ধরনের তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা গেল। অন্যথায় উদ্ভূত যে কোন পরিস্থিতি জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ নির্বাচন কমিশন ও এর সাথে জড়িতদেরকেই দায়ী থাকতে হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০/এবি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।