কুড়িগ্রাম জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাদ্রাসা ৭০টি, কলেজ ১৭টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪০টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতোমধ্যে পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। আরও চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে রয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, বানের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় জেলায় ২৭৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২৮টি, ২২২টি মাদরাসার মধ্যে ৭০টি এবং ৬১টি কলেজের মধ্যে ১৭টিতে বন্যার পানি উঠেছে। এর মধ্যে ৫৫টি স্কুল, ১৭টি মাদরাসা ও ২টি কলেজ বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এক হাজার ২৪০টি। এর মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫৩৬টি। আর নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৪টি। এখন ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার।

এছাড়া এসব বিদ্যালয়ের প্রায় তিনশটি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে ফ্লাডসেন্টার কাম স্কুলের সংখ্যা ৩৮টি। বন্যার পানি নেমে গেলেও পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে বেশ সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।