জমজমাট ব্যবসা তার বরগুনার আমতলীতে। মহিষকাটা বাসষ্ট্যান্ডে ‘ইসলাম মেডিকেল হল’ নাম দিয়ে তিনি চিকিৎসা করেন সব রোগের। কোয়ান্টাম এনালাইজার নামে একটি যন্ত্র দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছিলেন সব কাজ। নিজের কোনো ডিগ্রি না থাকলেও পরিচিত তিনি ‘ডাক্তার’ হিসেবে। প্রতারণামূলক এ কর্মের জন্য র‍্যাব আটক করেছে শহিদুল ইসলাম (৪২) নামের ভূয়া চিকৎসককে। তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে র‌্যাব- ৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এ্যাডিশনাল এসপি রইস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায় মহিষকাটা বাস ষ্ট্যান্ডে। সেখানে ইসলাম মেডিকেল হলে বসা ভূয়া চিকিৎসক ও ফার্মেসি মালিক শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে অপরাধ স্বীকার করে নেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কমলেশ মজুমদার তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

স্থানীয়রা জানান, শহিদুল এসএসসি পাশ করেন নব্বইয়ের দশকে। এরপর তিনি কোন প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা না নিলেও দাবি করেন এমএ পাশ। আর নূন্যতম প্রশিক্ষন ছাড়াই ডাক্তার উপাধি লাগিয়ে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের। কোয়ান্টাম এনালাইজার নামে একটি মেশিন দিয়েই পরীক্ষা করে সকল রোগের চিকিৎসা দেন। নিজের ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনতে বলেন রোগীদের।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘চিকিৎসক না হয়েও মানুষের সাথে প্রতরণা করেন শহিদুল। সতর্ক করার পাশাপাশি তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’

আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় সাজাপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলামকে আমতলী থানায় সোর্পদ করেছে র‍্যাব। রবিবার কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।