বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের চাহিদা যদি ডিইও, ডিডি, ডিজি স্যারদের কাছ থেকে নেওয়া হতো তাহলে একটি ফাইলও রিজেক্ট হতো না। আর আমরা এই এমপিও ফাইল রিজেক্ট হওয়ার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতাম। এনটিআরসিএ নিয়োগের সুপারিশ করে সকল মুল কাগজপত্র ভাইভার মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ চেক করে আর এমপিও দেয় মাউশি একগাদা কাগজের জটলা করে।এদিকে মেধাবী ট্যালেন্টেড শিক্ষকরা মাসের পর মাস বিনা বেতনে স্কুলে শ্রম দেয়।এটা কোন নিয়ম? যাদের দ্বারা আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষিত জাতি গঠিত হচ্ছে তারাই আজ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

আরও বলি ১২৫০০ টাকা বেতন দিয়ে আমি এনটিআরসিএ থেকে সুপারিশ হয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলা থেকে বরিশালে চাকরি ৪মাস করেও এমপিও পাইনি বরং থাকা খাওয়া ৫০০০০ টাকা গেছে।কোথায় যাবো কাকে বলিবো মনের কষ্ঠের কথা? আর এদিকে যে সকল নব নিযুক্ত শিক্ষকদের এমপিও ফাইল রিজেক্ট হচ্ছে তার জন্য দায়ী কারা? জানতে চাই—-। সকল উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বলছি মনে রাখবেন আপনারাও কোন না কোন শিক্ষকের ছাত্র।শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর।

এনটিআরসিএ মেধাবী শক্তিশালী জনবল সুপারিশ করেছে বরং কমিটির মত বোতল মার্কা শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি। কমিটির নিয়োগ হলে টাকা খেয়ে ফাইল পাশ হয় আর এনটিআরসিএ এর ফাইল রিজেক্টেড, এটা আমার সোনার বাংলা। আজ প্রশ্ন ফাঁস হয় কেন,,কারন নৈতিক শিক্ষা শিক্ষকরা দিতে পারে নাই। তাই ফাইল আর রিজেক্টেড ৯ কর্মের মধ্যদিয়ে বেঁচে থাকার জন্য এমপিও চাই।
সৌজন্যে→সুদক্ষ,সুশৃঙ্খল নৈতিকতাবোধ ও শিক্ষিত জাতি চাই।

লেখক:সহকারী শিক্ষক
মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজ
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, বরিশাল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।