ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্ধারিত ছকে বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের আক্রান্ত ও দায়িত্বপালনকালে দুর্ঘটনাকবলিত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (২৩ মে ২০২০) এ সংক্রান্ত চিঠি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিভাগীয় উপ-পরিচালক দের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক খান মো. নুরুল আমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কোন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে বা দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনা কবলিত হলে তাদের তথ্য নির্ধারিত ছক বরাবর পাঠাতে বলা হয়েছে বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের।

কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের নাম, পদবি, কর্মরত প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর, দায়িত্বের বিবরণ, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত না দুর্ঘটনাকবলিত সে সংক্রান্ত তথ্য ও মন্তব্য উল্লেখ করে নির্ধারিত ছকে তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের।

এর আগে করোনার ক্রান্তিকালে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তালিকা চেয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

উল্লেখ্য, এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সারাদেশে করোনায় কাজ করা এবং না করা প্রাথমিক শিক্ষকদের তালিকা নেওয়া হয়। ঐ সময় চাওয়া তালিকার নির্দেশনা বলায় হয় করোনা দুর্যোগে কাজ করা শিক্ষকদের বিশেষ সম্মানে ভুষিত করা হবে। এমনকি যারা করোনা দূর্যোগে কোন কারণ ছাড়াই কোন ধরনের সহযোগিতা করছেন না যে সকল শিক্ষক তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তি মূলকব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় উক্ত নির্দেশনায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৩ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৮৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২০ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬ হাজার ৪৮৬ জন। সুস্থতার হার ২০.২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ১৬ জন ও নারী চারজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে চারজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৮৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৪১ জনকে।
আমাদের বাণী ডট কম/২৩ মে ২০২০/ভিপিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।