ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  করোনাযুদ্ধে সরকারের পাশাপাশি আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যেখানে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার রোগীদের জন্য।

কে ধনী, কে গরিব- এটি বিবেচনা না করে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার ঘোষণাও দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান।

এরই মধ্যে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ ও আনোয়ার খান হাসপাতাল যৌথভাবে করোনা চিকিৎসার উপযোগী বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহ থেকে রোগীভর্তি শুরু সম্ভব বলে জানিয়েছেন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এখলাসুর রহমান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক ডা. এখলাসের আশা, এই সেবা সাধারণ রোগীদের শতভাগ আস্থা নিশ্চিত করবে।

ধানমন্ডির আট নম্বর সড়কের দু’পাশে দুটি আলাদা ভবনে ২০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল চালু করতে সারাক্ষণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ডাক্তার নিয়োগ, সেবিকাদের অতিরিক্ত প্রশিক্ষণও শেষ বলে জানালেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার খান এমপি।

তিনি বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আগামী মাসে এটি ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। এমন ধারণা দিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তাই কোভিড নাইনটিন চিকিৎসায় সরকার যে কয়টি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

আনোয়ার খান বলেন, এ কাজে বিশেষভাবে সহযোগিতা করছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। মহামারি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ইতোমধ্যে প্রস্তুতিও নিয়েছে।

তার অভিমত, বিশেষায়িত সেবার অন্যতম প্রতিষ্ঠান আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও শুধুমাত্র কোভিড চিকিৎসার জন্য আলাদা ভবনে ২০০ শয্যা প্রস্তুত করছে।

বর্তমানে আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ইনডোর মিলে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার রোগী স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। সাধারণ রোগীদের জন্য ৭৫০ বেডের হাসপাতাল যেটি রয়েছে সেটি আলাদাভাবেই সেবা দিয়ে যাবে। করোনা ইউনিট সম্পূর্ণ আলাদা ও বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে কাজ করবে।

মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার উপযুক্ত হবে নবনির্মিত ইউনিট-এমনটাই মনে করেন লক্ষীপুরের সংসদ সদস্য আনোয়ার খান।

সাধারণ রোগীদের জন্য এই হাসপাতাল সারাক্ষণ খোলা রয়েছে। কোনো ধরনের গুজব কিংবা কানকথা না শুনে সব রোগীকে প্রতিষ্ঠানে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ ডা. প্রফেসর এখলাসুর রহমান।

আমাদের বাণী ডট/০৪ মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।