এম বুরহান উদ্দীন-শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা; আতঙ্কিত হয়ে কমে গেছে রোগীদের চাপ। খুব বেশী অসুস্থ্য না হলে হাসপতালে এসে ভিড় করছে না রোগীরা। আউটডোরের মত একই চিত্র ইনডোরেও। বেশীরভাগ ওয়ার্ডেই যেন রোগী শুন্য। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে স্বাভাবিক রূপে জেলার শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্স হাসপাতালের নিত্যদিনের চিত্র। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে রোগীদের চাপ অনেক কম। যেখানে প্রতিদিন রোগীদের চাপে প্রায় হিশশিম খেতে হতো চিকিৎসক ও নার্সদের। সেখানে এখন রোগীদের চাপ নেই বললেই চলে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মাত্র ১৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল ২০২০) বৃহস্পতিবার (২এপ্রিল) শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্স সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে বেশীর ভাগ বেড (শয্যা) শুন্য। দু’চারটি বেডে রোগী ও তাদের তাদের স্বজনরা অবস্থান করছেন। শিশু ওয়ার্ডে ১জন রোগী চিকিৎসা নিতে ভর্তি আছেন। অন্য ওয়ার্ডেও যেন একই চিত্র। জরুরি রোগী ছাড়া কেউ হাসপাতালে আসতে চায় না।

পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স আয়েশা খাতুন জানান, গত একসপ্তাহ রোগীর চাপ নেই বললেই চলে, করোনা আতঙ্কে অনেকেই হাসপাতালে আসছে না।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: রাজিবুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কারণে রোগীদের চাপ কম। হাসপাতালে জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগী নেই বললেই চলে। অন্য রোগীও কম। তিনি আরো বলেন, কোন রোগীর যদি করোনার প্রাথমিক কোন উপসর্গ সন্দেহ বলে মনে হয়, তাহলে তাদের তাৎক্ষনাত করোনা ইউনিটে ভর্তি করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদ আল মামুন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫৪জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ১৯জন। একদিকে করোনা ঝুঁকি অন্যদিকে পরিবহন সীমিত চলাচলের কারণে রোগীর চাপ অনেক কমে গেছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো জানান, আউটডোরের চিত্র একই অবস্থা। সেখানেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের ভীড় নেই। তারপরেও যারা এসেছেন তাদের চিকিৎসক ও নার্স রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।

এছাড়া হাসপাতালে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরি বিভাগের পাশেই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার বেচিন স্থাপন করা হয়েছে। কেউ জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসলেই হাত ধৌত করে ঢোকার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। অপরদিকে অন্যদিনের তুলনায় হাসপাতালে ভীড় নেই, রোগীদের সাথে দর্শনার্থীদের চাপও নেই। হাসপাতালে বিরাজ করছে কোলাহলমুক্ত সিমসাম নিরবতা।

আমাদের বাণী ডট কম/০২ এপ্রিল ২০২০/পিপিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।