আলাউদ্দিন হোসে, পাবনা জেলা সংবাদদাতা;  করোনার সুযোগ নিয়ে গাছ কেটে সাবার করছে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। পাবনার কাশীনাথপুর রেষ্ট হাউসের প্রধান ফটক বন্ধ করে কয়েকদিন ধরে এ সব গাছ কাটা চলছে এবং একই স্থানে কাঠ মিস্ত্রি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে কর্মকর্তাদের ব্যাক্তিগত ফার্নিচার। বন বিভাগের অনমুতি ছাড়াই এ সব গাছ কাটা হয়েছে বলে বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে।
কাশীনাথপুর রেষ্ট হাউসের কেয়ারটেকার শরিফুল ইসলাম জানান, প্রধান নির্বাহী স্যারের নির্দেশে আমরা গাছ কেটে ফার্নিচার বানাচ্ছি। এ জন্য প্রতিদিন ৬ জন কাঠ মিস্ত্রি ও ৭ জন যোগাইলা কাজ করছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু বলেন, কোন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া গাছ কাঠা উচিৎ না। তা ছাড়া যতদুর জানতে পেরেছি এই গাছগুলো খুবই মুল্যবান। শুধুমাত্র ফার্নিচার বানানোর জন্য এ সব গাছ কাটা অন্যায়। তা ছাড়া করোনার এই সময়ে যে ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে তা দু:খজনক। এই সময় আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বেশী বেশী ‘অক্সিজেন’এর। আর আমরা এই ‘অক্সিজেন পাচ্ছি গাছ থেকে।
পাবনা সামাজিক বন বিভাগের বন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা পরিষদের কাশীনাথপুর রেষ্ট হাউসের গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগ কিছুই জানেনা। গাছ কাটতে হলে একটি কমিটি করতে হয় এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শে প্রয়োজন হলে গাছ কাটা হয়। এ ক্ষেত্রে সে রকম কিছু করা হয়নি।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাশীনাথপুর রেষ্ট হাউসের ফার্নিচার পুরোনো হয়ে গেছে। ঐখানকার নতুন কিছু ফার্নিচার তৈরির জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে। এ জন্য সরকারি সকল নিয়ম মানা হয়েছে। কর্মকর্তাদের ব্যাক্তিগত ফার্নিচার বানানোর সত্যতা তিনি অস্বীকার করেন।
আমাদের বাণী ডট কম/০৯ জুন ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।