উপ কর কমিশনার খুলনা কর অঞ্চলের এক নোটিশ সার্ভারকে দুই বছরে তিনবার বদলী করে নিন্ন পদে চাকরীরত একজন কর্মচারীর প্রতি অবিচার ও সেচ্ছাচারিতার নজীর সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই সাথে সরকারী এই দপ্তরটির নিয়োগ ও পোষ্টিং বানিজ্যের ভিতরের খবর চাউর হয়ে পড়েছে। মোঃ মনিরুল ইসলাম উপ কর কমিশনার খুলনা কর অঞ্চলের একজন নোটিশ সার্ভার। তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। একজন দরিদ্র নিন্ন পদস্থ কর্মচারী হিসেবে বেতনের টাকায় কোন ভাবে তার সংসার চলে। তারপরও তিনি কর্মস্থলে স্ত্রী, সন্তান ও মমতাময়ী মাকে রাখতে পারেন না। অথচ নোটিশ সার্ভার মনিরুলকে দুই বছরে দুরবর্তী স্থানে তিনবার বদলী করে অবিচার করা হয়েছে।

উপ কর কমিশনার অফিসে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সালে মনিরুলকে ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম বদলী করা হয়। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে চুয়াডাঙ্গা থেকে সুদুর খুলনা অফিসে, ২০১৮ সালের জুন মাসে খুলনা থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ অফিসে এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১০ জুলাই কালীগঞ্জ অফিস থেকে কর অঞ্চল খুলনার নড়াইল সার্কেলে বদলী করা হয়েছে। বদলীর সমস্ত নীতিমালা ভঙ্গ করে একজন নিন্ন পদে চাকরী করা নোটিশ সার্ভারকে এ ভাবে ঘনঘন বদলীর ফলে মনিরুল ইসলাম মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। অথচ নানা ধরণের দুর্নীতি ও অনিয়ম করেও কর অফিসের অনেক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী ৪ থেকে ৯ বছর পর্যন্ত একই স্থানে চাকরী করে যাচ্ছেন।

অভিযোগ উঠেছে, নিরাপত্তা প্রহরী লোকমান হোসেন মেহেরপুর অফিসে আছেন ৬ বছর, একই অফিসের নোটিশ সার্ভাার রাসেল রয়েছে ৪ বছর, ঝিনাইদহ অফিসে আতিকুল ইসলাম আছেন ৪ বছর, জালাল আহম্মেদ ঝিনাইদহে আছে ৫ বছর, আব্দুর রশিদ চুয়াডাঙ্গায় আছেন ৯ বছর, বছির আহম্মেদ ঝিনাইদহ অফিসে আছেন ৫ বছর, আকবর আলী নড়াইল অফিসে আছে ৬ বছর, নিরাপত্তা প্রহরী মোজাম্মেল হককে নওয়াপাড়া থেকে ঝিকরগাছায় বদলী করা হয়েছিল। অথচ দুই মাসের মাথায় তিনি আবার নওয়াপাড়ায় পোষ্টিং করাতে সক্ষম হন। মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে নোটিশ সার্ভার মনিরুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তারপরও আমাকে দুরবর্তী স্থানে ঘন ঘন বদলীর শিকার হতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে খুলনা কর অঞ্চলের উপ কর কমিশনার (প্রশাসন) খোঃ তারিফ উদ্দীন আহম্মেদের বক্তব্য জানতে তার সরকারী ল্যান্ড ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।