বঙ্গোবসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় থেমে থেমে হালকা গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। আকাশ রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। এরই সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। এমন পরিস্থিতি আরও দুই একদিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।

শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়ির রান্না ঘরে ওঠেনি উনুন। প্রচন্ড শীতে যবুথবু দিয়ে বসে আছে মানুষ। আবার অনেকেই খড় কুটো দিয়ে আগুন জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে পৌর শহরের দোকান পাট। এমন পরিস্তিতিতে বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে নামছেনা কেউ। রাস্তা ঘাট রয়েছে জনশূন্য। বিশেষ করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নি¤œ আয়ের শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষ ।

এদিকে গুড়ি বৃষ্টিতে কৃষকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাদের অনেকেরই রয়েছে উঠোন ভর্তি ধান। এছাড়া বৃষ্টির ধারা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকলে রবি শস্য ও শীত মৌসুমী সবজি চাষীদের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে তরমুজ চাষীরা রয়েছেন ব্যাপক ক্ষতির শংকায়।

টিয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক সামছু মিয়া জানান, মাড়াই শেষে ধান উঠানে ঢেকে রাখা হয়েছে। কাংখিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারছিনা। বেশি বৃষ্টি হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। একই এলাকার আরেক চাষী জানান, এবছর লাউ গাছে ভাল লাউ ধরেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বড় ধরনের ক্ষতির আংশকা রয়েছে।

কলাপাড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ-পর্যবেক্ষক ফিরোজ কিবরিয়া জানান, দুই দিন পর্যন্ত থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুই একদিনের মধ্যে আবহাওয়া ভাল হতে পারে। তবে বৃষ্টি শেষে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, বৃষ্টির ধারা অব্যবহত থাকলে কৃষদের ব্যাপক ক্ষতির শংকা রয়েছে। বিশেষ করে রবি শস্য ও চরমুজ চাষীদের নিয়ে বেশ ক্ষতির শংকা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।