দিনাজপুরের মধ্যপাড়া বনবিভাগের ভূমি প্রতারণার শিকার সাধারণ মানুষ নানা ভাবে হয়রণি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মধ্যপাড়া রেন্জের সদও বীট এর একশ্রেণির অসাধু বন অফিসার গোপনে এলাকার ভূমি দখলদারদের নিকট বনবিভাগের সরকারি জমি চাষাবাদেও জন্য লিজ দিয়ে আর্থিক সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পক্ষান্তরে ব্যাক্তি মালিকানা রেকডিও জোত জমি ভূয়া গেজেট তৈরি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে।

জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার গুড়গুড়ি গ্রামের আশরাফ আলী তার নিজ ক্রয়কৃত রেকডিও সম্পতিতে নার্সারী রক্ষনাবেক্ষন ঘর তৈরী করতে গিয়ে বনবিভাগের বাধার সম্মুক্ষীণ হয়েছেন। সিএমবি রাস্তার পার্শ্বে খুটির উপর ঘর তুলতে বাধা দেওয়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুড়গুড়ি মৌজার দাগ নং ৭৯৫,৭৯৬ এসএ খতিয়ান ১২৫/১৩৪ সিএস ১২২ জমির পরিমাণ ৫০ শতক। উক্ত জমির মূল মালিক ছিলেন ছমিউদ্দিন ও আমীরউদ্দিন নামে দুই জোতদার। তারা জমি ভোগ দখল কালিন সি এস ১২২ খতিয়ানে আমীরউদ্দিন নামে এবং এসএ খতিয়ানে ১২৫/১৩৪ ছমিরউদ্দিন নামে চুড়ান্ত ভাবে রেকর্ড প্রকাশিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কমিরউদিদ্দনের একমাত্র নাতি ফয়জার রহমানের নামে ২৬/৫/১৯৮০ ইং তারিখে ৭৩৫৪ নং দলিল রেজিঃ হয়। এর পর থেকে ফয়জার রহমান উক্ত সম্পত্তির সনসন ও হালসন খাজনাদী প্রদান পূর্বক ১০/১১/২০০২ ইং তারিখে ৮৮৩২নং রেজিঃ দলিল মূলে আশরাফ আলী মালিকানা লাভ করেন। অথচ মাঠ জরিপ চলাকালে হঠাৎ ঐ সম্পতি বনবিভাগের তালিকা ভুক্ত বলে বন বিভাগ দাবী কওে এবং সেই মর্মে সঠিক কাগজ পত্র প্রদর্শনে বনবিভাগ ব্যার্থ হয়। জটিলতা নিরসনে জমির মালিক আশরাফ আলী দিনাজপুর সহকারী জজ আদালতে ১৫১/০৮ অন্য মামলা করেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঐ জমির একই দাগে আজিজুল, বাদশা, আজিজ হাকিম বিল্ডিং বাসা এবং দোকানঘর ুিনর্মান করে বসবাস করছেন।

নিকট প্রতিবেশী সিরাজুল হক জানান, পূর্ব মালিকদের রেকডিও ভোগ দখলিয় সম্পতি আশরাফ বৈধভাবে ক্রয় করেছে এখানে বনবিভাগের কী?

মধ্যপাড়া রেন্জ কর্মকর্তা মোঃ মোকছেদ হোসেন খন্দকার জানান, বনবিভাগের জমি গোপনে কাউকে লিজ দেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই, তবে আশরাফের ঘর নির্মান সরেজমিন পরিদর্শন শেষে জানানো হবে। একই দাগে অন্য কারো বসত বাড়ি থাকলে উচ্ছেদ এর জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভুক্তভোগি আশরাফ আলী বলেন, আমি যে অস্থায়ী ঘরটি তৈরী করছি তা সিএমবি রাস্তার পার্শ্বে আমার নিজস্ব জমিতে। তথাপি অযথা আমাকে বনবিভাগ হয়রানি করছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।