রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার ২য় কাউন্সিসে জামাল হোসেনকে সভাপতি ও এস এম কাদিরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৩ টায় সংগঠনের ২নং রেলগেটস্থ জেলা কার্যালয়ে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রি-রোলিং স্টিল মিলস্ শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জালাল হোসেনের সভাপতিত্বে কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন রি-রোলিং স্টিল মিলস্ শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমাম হোসেন খোকন, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, রি-রোলিং স্টিল মিলস্ শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, রি-রোলিং স্টিল মিলস্ শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক এস, এম, কাদির।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ মজুরি বোর্ড রি-রোলিং খাতে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করেছে। মজুরি কমিশন, পে-স্কেল, বর্তমান বাজার দর ও ঝুঁকি বিবেচনায় রি-রোলিং খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি করেছিল। কিন্তু সরকার শ্রমিকদের চাওয়া সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে মালিকদের পরামর্শমত এ মজুরি কাঠামো ঘোষণা করেছে। শ্রমিকরা এ মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করেছে। গত ২৪ ডিসেম্বর রি-রোলিং শ্রমিক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে আইন মোতাবেক মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট আপত্তিপত্র দেয়া হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রি-রোলিং মিলের কাজ দেশের অন্যতম কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিকরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। শ্রমিকরা স্থায়ী পঙ্গুত্ববরণ করে, প্রায়ই মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু কোন ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় না। কারখানাগুলোতে শ্রম আইন বাস্তবায়ন নাই। যখন-তখন চলে ছাঁটাই, কারখানা বন্ধ। নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র না থাকায় শ্রমিকরা আইন অনুযায়ী প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়।

নেতৃবৃন্দ ২২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্রসহ গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

কাউন্সিলে  গোলাম মোস্তফা সহ-সভাপতি, বাদশা মিঞা ও আব্দুল মালেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, গোলাম রব্বানী সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৮ সদস্যের কমিটি নির্বাচিত হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।