ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার আচকা ইউনিয়নের অসহায় প্রকাশ চন্দ্র বর্মণের ভিটেমাটি কাগজপত্রাদি জাল করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ১ দল ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় প্রকাশ চন্দ্র বর্মন ঠাকুরগাঁ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার আচকা ইউনিয়নের অসহায় প্রকাশ চন্দ্র বর্মন বাড়ি তৈরি করার পর ঐ এলাকার সুভাষচন্দ্রের কাছে ১৩,৩৩শতক জমি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বায়নামা করেন । কিন্ত সুরেশচন্দ্র নিঃসন্তান থাকা অবস্থায় অসুস্থ জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেঐ জমির ওয়ারিশ হয়ে যান তার ছোটভাই উমেশ বর্মন । উক্ত জমি প্রকাশ চন্দ্র বর্মন কে তখন করে দেওয়ার কথা বলে বড় ভাই সুরেশের সৎ কাজের জন্য উমেশ ভ্রমণ আবার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয়। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদে ভাতিজা তুলসী বর্মন ঐ ওই জমির কোন ওয়ারিশ থাকবে না বলে এফিডেভিট করে দেয় । তারপর সুরেশের ছোট ভাই উমের সকলকে নিয়ে প্রকাশ চন্দ্র বর্মন কে ১৩,৩৩ শতক জমির দখলে নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেন । কিছুদিন আগে তুলসী বর্মন ও ভূমিদস্যু ইউপি সদস্য কুলু রায় একত্রিত হয়ে জমির নকল খতিয়ান তৈরি করে প্রকাশ চন্দ্র বর্মণের ১৩,৩৩ শতক জমি বিক্রি করে দেয় ঠাকুরগা জেলার এক প্রভাবশালী নেতার কাছে ।

প্রকাশ চন্দ্র বর্মন জানান, উক্ত জমি আমি সুরেশ এর কাছে কল করেছিলাম । বায়নামা করে সুরেশ মারা যায় তার সন্তান না থাকায় ছোট ভাই উমেস ওয়ারিশ বুনে যায় । পরে উমেস আমার কাছ থেকে জমির জন্য টাকা নিয়ে আবার এফিডেভিট করে দেয়। যে আর কোন ঐ জমির ওয়ারিশ থাকবে না । কিন্তু যে স্থানীয় একটি দালাল চক্রের সাথে যোগসাজসে নকল খতিয়ান তৈরি করে বিক্রি করে দেয় তার ভাতিজা তুলসী । ফলে আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভিটেবাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে আমি আদালতে এইজন্য মামলা করেছি ।

এ বিষয়ে তুলসী বর্মন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ,আমি ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক তাই বিক্রি করেছি ।

আচকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত বর্মন জানান, প্রকাশচন্দ্র পূর্ণ ঐ জমি সুরেশ এর কাছে কিনে নিয়েছেন । জমি বিষয়ে কয়েকবার আচকা ইউনিয়ন পরিষদে বসা হয়েছিল । সুরেশের ছোটভাই উমেস পরবর্তীতে এভিডেভিট মূলে প্রকাশ চন্দ্র কে জমির মালিকানা লিখে দেন ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।