বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ভাঙ্গা সেতুর উপর বাঁশ-কাঠের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক লোক যাতায়াত করায় যে কোন সময় এটি ভেঙ্গে পরে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় কালী মন্দির থেকে দক্ষিণ দিকের ওয়াপদা বেরী বাঁধে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই বাঁশ-কাঠের ব্রিজটি।

উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়নের রাহুৎপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই পথে অগণিত লোকজন চলাচল করলেও কবে নাগাদ এই মরণ ফাঁদের কাঠ বাঁশের ব্রিজটি পাকা সেতুতে রূপান্তরিত হবে তা তাদের অজানা। পূর্বে রামের বাজার এবং পশ্চিমে ঘোড়ারপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে ব্রিজ ছাড়া এই কাঠ বাঁশের পাটাতনের ব্রিজটিই ওই এলাকার শত শত লোকজনের চলাচলের একমাত্র পথ। কাঠ-বাঁশ নষ্ট হয়ে বর্তমানে ব্রিজটি ব্যবহারে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পরেছে। লোহার রডগুলো একেবারে নড়বড়ে হয়ে পরেছে। এটি ধ্বসে পরে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছায় নিজস্ব উদ্যোগে এটি কয়েকবার মেরামত করলেও সরকারের এলজিইডি বিভাগ থেকে ব্রিজ নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

এ ব্যপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রাজকুমার গাইন জানান, সেতুটির বর্তমান অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।