মোঃ জাফরুল হাসান, কালকিনি (মাদারীপুর) সংবাদদাতা;  ত্রাণের  চাল ছিনিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে জেলার কালকিনিতে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে করে উভয় পক্ষের মহিলাসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল ২০২০)  দুপুরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এলাকা ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল আলম মৃধা করোনা ভাইরাস প্রভাবের কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার লক্ষে তার ইউনিয়নে ত্রানের (জি.আর) চাল গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে সবার ঘরে-ঘরে পৌছে দিচ্ছেন। এ সুবাদে বুধবার বিকেলে মোঃ সিপন মল্লিক নামের একজন গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে অটোভ্যান যোগে ওই ইউনিয়নের কাজী কান্দি গ্রামে চাল নিয়ে পাঠায়। চাল নিয়ে ওই গ্রামে পৌছলে একই গ্রামের দাদন কাজী ও সাজেদা নামের দুইজন লোক গ্রাম পুলিশ সিপন মল্লিকের কাছ থেকে জোর করে চাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তাদের বাঁধা দিলে গ্রাম পুলিশ সিপনকে দাদন কাজীসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারধোর করে।

এ ঘটনা জানাজানি হলে গ্রাম পুলিশ সিপন ও দাদন কাজীর লোকজনের মাঝে সংঘষের সৃষ্টি হয়। এসময় গ্রাম পুলিশ সিপন মল্লিক, আনোয়ারা বিবি, শিরিয়া, দোলন ও হেলেনাসহ কমপক্ষে ৭জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আনোয়ারাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকীদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল আলম বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য আমি গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ঘরে ঘরে চাল পৌছে দিচ্ছি। তাই এর সুযোগে গ্রাম পুলিশ সিপনের কাছ থেকে দাদন কাজী ও সাজেদা চাল ছিনিয়ে নেয়। এতে বাঁধা দিলে তারা গ্রাম পুলিশ সিপনকে মারধোর করে। আমি এর আগের বার ও তাদেরকে চাল দিয়েছি। তারা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে এ কাজ করেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

আমাদের বাণী ডট কম/৩০ এপ্রিল ২০২০/পিপিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।