ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করেছে তিন নাজমুল। এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে সাধারণ কর্মীরা। বিভ্রান্তি নিরসনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নাম ও গ্রাম উল্লেখ করে বিবৃতি ও নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেও তাতেও বিপত্তি কাটছে না। বরং স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের সভাপতি দাবী করা হচ্ছে।

সভাপতি দাবি করা তিন নাজমুল হলেন, কালীগঞ্জের মল্লিকপুর গ্রামের নাজমুল হোসেন, পুকুরিয়া গ্রামের (বর্তমান কালীগঞ্জ শহরের বৈশাখী মোড়) নাজমুল হাসান নাজিম ও মনোহরপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম। তবে জেলা ছাত্রলীগ ঘোষিত নতুন কমিটির সভাপতি হচ্ছেন কালীগঞ্জের মল্লিকপুর গ্রামের নাজমুল হোসেন। তিন নাজমুলের সভাপতি দাবীর বিষয়টি স্বীকার করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিঠু মালিথা।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত ৬ জুলাই রাতে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে সভাপতি রানা হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাজমুল হাসান নাজিমকে সভাপতি, মনির হোসেন সুমনকে সাধারণ সম্পাদক ও জাবেদ হোসেন জুয়েলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন। নতুন সভাপতি নাজমুল হাসান নাজিমের বয়স না থাকা ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদ হোসেন জুয়েলের বিয়ে করার বিষয়টি প্রমাণিত হলে নতুন কমিটি ঘোষনার ৪ দিনের মাথায় গত ১০ জুলাই তাদের দুইজনকে অব্যহতি দেওয়া হয়। একই প্যাডে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেনকে সভাপতি ও মোঃ রিয়াজউদ্দিনকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর নাজমুল হোসেন নামের দুই ছাত্রলীগ নেতা নিজেদের সভাপতি ও সাবেক সহ-সভাপতি বলে দাবি করে ফেসবুকে প্রচার চালাতে থাকে। এরমধ্যে নিজেকে সভাপতি হওয়ার নতুন দাবী তুলে আবার যোগদেন মনোহরপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম। এই তিন নাজমুলের গোলক ধাঁধায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে জেলা ছাত্রলীগ। এদিকে প্রথম ঘোষিত কমিটি থেকে সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। ১০ জুলাই রাতে কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তারা বিদ্রোহ ঘোষনা করে নানা কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিঠু মালিথা জানান, ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তার একটা গঠনতন্ত্র আছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও জেলা কমিটি যে কমিটি দিয়েছে সেটাই কালীগঞ্জ উপজেলা কমিটি হিসেবে বিবেচিত হবে। সাবেক নেতা হিসেবে মিঠু মালিথা নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এই কমিটি মানতে সবাই বাধ্য।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।