ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোর খুনের ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সোয়া ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে নন্দনপুর গ্রামের কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন।

অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুপাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, গত সোমবার সদর উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে স্থানীয় খাঁটিহাতা গ্রামের ফল বিক্রেতা জাকিরের ছুরিকাঘাতে নন্দনপুর গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া (১৫) নিহত হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারেকের পরিবারের লোকজন।

মামলা না নেয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়কে মানববন্ধনের জন্য জড়ো হন। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এর ফলে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে তারেককে হত্যা করেছে জাকির ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা নিয়ে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তাই মামলা নেয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।

পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল সদর থানার ওসি আবদুর রহিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলা রেকর্ড করার কথা বললে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার বিকালে বিশ্বরোড মোড়ে একজন ক্রেতা ফল কিনতে গেলে তারেক ও তার পাশের দোকানের ফল বিক্রেতা জাকির ক্রেতাকে ডাকডাকি করেন। এই নিয়ে তারেক ও জাকিরের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তাৎক্ষণিক অন্য দোকানদাররা বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।

এরপর সন্ধ্যায় তারেকের বাবা সোবহান মিয়া দোকানে গেলে বিষয়টি নিয়ে আরেক দফা বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে জাকির তার সহযোগীদের নিয়ে তারেককে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তারেককে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আমাদের বাণী ডট কম/২ সেপ্টেম্বর ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।