কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলাধীন চাঁদপুর ইউনিয়নে ছেলে মিরাজ কে না পেয়ে গভীর রাতে নিজ ঘরের দরজা ভেঙে থেকে মা কে তুলে নিয়ে গেল ঐ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধরন সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ও তার সহকর্মী খালেক এবং আনিস।পরে রাতভর শারীরিক নির্যাতন শেষে ভোর রাতে বাসায় ফিরিয়ে দিয়ে যায় তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায় আনিস।

ঘটনাটি সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে চাদপুর ইউনিয়নের মোহননগর পশ্চিম পাড়ার মোঃ হাবিবুর রহমান এর বাড়িতে ঘটেছে।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন গেলে,শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার মিরাজের মা জানান, আমার ছেলে মিরাজের সাথে নজরুলের মেয়ে তন্নীর দীর্ঘ দিন সম্পর্ক।এক পর্যায়ে তারা নিজেরাই বিয়ে করে পালিয়ে যায়।এরপর সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে কয়েকজন মানুষ মোটর সাইকেল যোগে আমার বাড়িতে এসে ঘরের দরজা লাথি দিয়ে ভাঙে ভিতরে প্রবেশ করে।

এরপর পর দেখি নজরুল,খালেক,আনিস সহ আরো ১০/১২ জন।ওরা আমাকে কিছু না বলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এক পর্যায়ে নজরুল আমার মুখে পাঁচটি থাপ্পড় মারে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে কোথায় যেন নিয়ে গেল।এরপর নজরুল, খালেক,আনিস সহ আরো অনেকে মুখ বাঁধা অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শেষে মঙ্গলবার ভোর ৪ টার দিকে আনিস আমার বাড়িতে রেখে চলে যায়।

এবিষয়ে চাদপুর ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বিটু বলেন, সকালে জানতে পারলাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি নজরুল, খালেক ও আনিস ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রাতে মিরাজের মা কে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর শারীরিক নির্যাতন শেষে ভোর রাতে বাড়িতে ফেরত দিয়ে যায়।এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি আরো বলেন,আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে অভিযুক্তদের আইনের আওয়ায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন,গতকাল রাত ২ টার দিকে মিরাজের মামা আমার বাসায় এসে বিষয়টি জানালে,আমি ওসি সাহেব মুঠোফোনে জানায়,ওসি সাহেব চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্ত্রের আই সি এস আই স্বপনকে নির্দেশ দেয় বিষয়টি দেখার জন্য।এরপর এস আই স্বপন আমাকে বলেন,নজরুলের সাথে কথা হয়েছে সে ফেরত দিয়ে দেবে।

তিনি আরো বলেন,সকালে শুনলাম রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শেষে ভোর রাতে মহিলা কে ফেরত দিয়েছে। এবিষয়ে চেয়ারম্যান আরো বলেন,প্রশাসন ছাড়াই একজন মহিলাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতন এটা একটা আইন বিরোধী কাজ।আমি অভিযক্তদের শাস্তির দাবি জানায়।

এবিষয়ে চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্র সরেজমিন গিয়ে এস আই স্বপনরে পাওয়া না গেলে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে চাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে ঐ মহিলার ছেলে পালিয়ে যায়, এর আগেও কয়েকবার পালিয়েছে।গতকাল আবার পালিয়ে গেলে,ওদের অবস্থান জানার জন্য মহিলাকে নিয়ে আসি, তবে জোড়পূর্বক নয়।তিনি আরো বলেন,ভোর রাতে আনিস তাকে বাসায় ফিড়িয়ে দিয়ে আসে,তবে নির্যাতনের বিষয় আমি জানিনা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।