কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ড্রাম চিমনী ভাটায় তৈরী হচ্ছে ৫ স্টার ও এসএমবি নামক দুই প্রকার ইট। এর মালিকের নাম বছির উদ্দিন। তাছাড়াও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের এমকেবি ব্রিকস এ ব্যবহার হচ্ছে ড্রাম চিমনী। এদের নেই কোন পরিবেশের ছাড়পত্র। এরা এখন সম্পূর্ণরুপে অবৈধ। এদের মালিক মাজিদ ও খাকচার। পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক এধরণের ভাটা অবিলম্বে বন্ধ করা আবশ্যক বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা এবং সচেতন সমাজ।

এধরনের ভাটা কিসের ভিত্তিতে এখনও চলমান আছে তা এখন সাধারণ জনগণের বিস্ময়ের ব্যাপার। তাছাড়াও এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এসব ভাটা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলেও পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সন্মূখীন হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। গাছ কেটে উজাড় করে সেই কাঠ ব্যবহার হচ্ছে এসব ভাটায়। তাতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে কাঠ পুড়িয়ে তৈরী হচ্ছে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড যেগুলো মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক ও চরম হুমকি স্বরুপ।

তাছাড়াও এ ড্রাম চিমনী ব্যবহারের ফলে খুবই কম উচ্চতায় ধোয়া উৎপন্ন হওয়ার কারণে ফসলী জমির ক্ষতি সাধন সহ মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করছে। গ্রাম-গঞ্জের গাছ-গাছালি মারা যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকছে। ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুকি থেকেই যাচ্ছে।

এলাকাবাসী, পরিবেশ বাদী সংগঠন এবং সচেতন মহল মনে করেন এ ধরনের অবৈধ ও ঝুকিপূর্ণ ইটভাটা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে আমাদের পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।