ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামীকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড, পেনাল কোডের ৩০২/১১৪ ধারায় ৭ জনকে যাবজ্জীবন ও পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ১ জনকে ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

রবিবার সকালে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান এই দন্ডাদেশের রায় ঘোষনা করেন।

মৃত্যুদন্ড দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের ছের আলী শেখের ছেলে নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান, বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী, নাজির প্রামাণিকের ছেলে সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের মৃত নুরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও আরিফ মালিথা নামে এক আসামীকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

এছাড়াও দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে রায় দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামীরা যোগসাজেশে হামলা করে ঘটনাস্থলে স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানকে ঘটনাস্থলে হত্যা করে এবং তার ভাই মিজানুর রহমানকে রক্তাক্ত জখম করে, সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করে।

এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৭, তারিখ: ২৬/০৪/২০১৯ ইং। ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে চার্জশীট জমা প্রদান করে।

কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি(নারী ও শিশু) অ্যাড. আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।