সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট এর উদ্যোগে সারাদেশে প্রতি ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে আমন ধান ক্রয়; বর্গাচাষীদের কৃষি কার্ড প্রদান; ধান ক্রয়ে দুর্নীতি, দলীয়করণ বন্ধ, উৎপাদিত ফসলের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ সরকারি উদ্যোগে ক্রয় করা, প্রতি ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১ কোটি টাকা করে মোট ৫০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা, গ্রামীণ শ্রমজীবী ক্ষেমজুর, দিনমজুর, ভূমিহীন, গরীব চাষীদের জন্য আর্মি রেটে গ্রামীণ রেশনিং চালু করা এবং গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন, সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় ভাবে এই সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট।

কৃষক নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কৃষক নেতা নিখিল দাস, বেলায়েত হোসেন, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ নগর নেতা জুলফিকার আলী, বিজ্ঞান আন্দোল মঞ্চের সমন্বয়কারী ইমরান হাবিব রুমন, ছাত্রনেতা আল কাদেরী জয়।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে তোপখানা রোড হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয় এবং নিখিল দাস, জুলফিকার আলী, বেলায়েত হোসেন, প্রদীপ কুমারের নেতৃত্বে একটি টিম ঢাকা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন।

সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ কৃষি, কৃষক-ক্ষেতমজুর ও দেশ বাঁচাতে নিন্মোক্ত ৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানান।
১) প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরকার নির্ধারিত দামে খোদ কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদিত আমন ধানের ৩০ শতাংশ ক্রয় করতে হবে।
২) বর্গাচাষীদের কৃষি কার্ড প্রদান করতে হবে। ধান ক্রয়ে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে।
৩) প্রতি ইউনিয়নে ১ টি করে খাদ্য গুদাম নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করতে হবে।
৪) গ্রামীণ শ্রমজীবী ক্ষেতমজুর-ভূমিহীন, গরীব চাষীদের জন্য আর্মি রেটে গ্রামীণ রেশনিং চালু করতে হবে।
৫) গ্রামের দরিদ্র শীতার্ত জনগোষ্ঠীকে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র প্রদান করতে হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।