নিজস্ব সংবাদদাতা, খুলনা;  প্রত্যেক শ্রমজীবি পরিবারকে আগামী ৬ মাস রেশন দেয়া, ত্রাণ ও রেশন কার্ড বিতরণে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা, ত্রাণ চুরির মূল হোতাদের গ্রেফতার ও বিচার করা, সাধারণ ছুটির এই সময়ে লে অফ ও শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও বৈশাখী ভাতা পরিশোধে টালবাহানা বন্ধ করা সহ শ্রমিক শ্রেণীর ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে এক প্রতীকী মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালন করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা শাখা।

মহান মে দিবস পালিত
মহান মে দিবসে প্রতীকী মানববন্ধনে শ্রমিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ

আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এই  প্রতিকী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনের খুলনা জেলা শাখার সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য আব্দুল হাই, আলমগীর হোসেন, কামরুল ইসলাম, কোহিনুর আক্তার কণা, পারুল বেগম, পারভীন আক্তার, আলেমা সুলতানা শিল্পী, মাহিলা আক্তার আনিকা প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ৮ ঘন্টা কর্মদিবসের দাবিতে ১৮৮৬ সালে এই দিনে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে যে লড়াই শ্রমজীবি মানুষ লড়েছিল সে সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মহান মে দিবস পালিত হলেও এর অন্তর্নিহীত মূল চেতনা শ্রমজীবি মানুষের শোষণমুক্ত এক সমাজ নির্মাণ করা। আজ পুঁজিবাদী দুনিয়ায় শ্রমিকরা কাগজে-কলমে ৮ ঘন্টা কর্মদিবস স্বিকৃত হলেও বাস্তবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের প্রায় সারাদিন ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য ছুটতে হয়। আমাদের দেশে আজ শ্রমিকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে সম্পদ উৎপাদন করছে, অথচ সেই সম্পদ মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি লুটপাট করছে, বিদেশে পাচার করছে। ফলে দিনশেষে শ্রমজীবি মানুষের অসহায়ত্ব বাড়ছে। করোনা সংক্রমনকালে সাধারণ ছুটির সময়ে সরকার সকল শ্রমিক পরিবারকে ত্রাণ দেয়ার কথা বললেও বেশিরভাগই বঞ্চিত। ত্রাণ চুরি, বিতরণে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি চলছে সর্বত্র।

সকাল ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে প্রতিকী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন সাধারণ ছুটির মধ্যেই গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই চলছে। বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা হচ্ছে না। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক আজ কর্মহীন। ফলে সামনের দিনে বেকারত্ব ও দূর্ভিক্ষের ভয়াল পরিস্থিতির মুখে আমরা। অথচ দেশের সম্পদ লুটপাট না করে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এই সংকট ভালোভাবেই মোকাবিলা করা যায়। কিন্তু লুটপাটকারী সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় তা সম্ভব নয়। প্রয়োজন এই ব্যবস্থা ভেঙে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মান করা।

আমাদের বাণী ডট কম/০১ মে  ২০২০/পিপিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।