কুষ্টিয়ার খোকসায় বিবাদমান আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হামলা পাল্টা হামলা সংঘর্ষে নারীসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ আহত হয়েছে। দুই পক্ষের ৬টিও বেশী বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আনিসুর রহমানের লোকেরা প্রতি পক্ষের উপর হামলা করে। প্রথম এ হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতারের সমর্থক হাবিব মোল্লা আহত হয়। প্রতিপক্ষের লোকেরা হামলা চালিয়ে আতিয়ার ও আলীমের বাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় দুই পক্ষের ছোড়া গুলিতে শহিদুল, মাসুম ও শাহিদা খাতুন গুলি বিদ্ধ হয়। হামলায় উজ্জল, মাছুমসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের অনুসারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানের বাড়িসহ তার কর্মী সমর্থকদের ৬টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবে উত্তেজনা রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি গুলিবৃদ্ধ আহত শহিদ জানায়, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনুসুর রহমানের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা প্রতিপক্ষ উপর চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তার শরীরে কম পক্ষে ৫০টি গুলির স্পিলি›ন্ডার বিধে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষের সমর্থিত পরাজিত চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল ইসলাম ডাবলু’র লোকেরা তাকে (আনিসুর রহমান চেয়ারম্যান) হত্যা করার জন্য একাধিক বার হামলা করেছে। এ সব হামলার পেছনে উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগের বিধা বিভক্ত নেতাদের ইন্ধন রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল ইসলাম ডাবলু বলেন, দীর্ঘ দিন তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে রয়েছে। গ্রামেই নেই। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে হচ্ছে। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান অনেক ভুমিহীনদের ঘর বাড়ি ভেঙ্গেছিল। এসব তারই প্রতিফলন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আহতদের মধ্যে উজ্জল ও মাছুম কে কুষ্টিয়া জেলারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানা শায়ন্তনী ঘোষ নিশ্চিত করেন।

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, তাদের কাছে শহিদ নামের একজন গুলিবিদ্ধ রোগী এসেছিল। তাকে রেফার্ড করা হয়েছে।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত খোকসা থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী জানান, কয়েকজন গুলিবিদ্ধ আহত হয়েছে। পুলিশ আসার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।