কুষ্টিয়ার খোকসায় নিজের বাড়ি থেকে মধ্যবয়সী এক নারীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক স্বামী ও অপর দুই নারীকে পুলিশ আটক করেছে।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের খোকসা মডেল টাউন এলাকার সাবিনা ইয়াসমিন (৪৮) নামের এক মহিলা বাড়ির বারান্দা থেকে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার করে ঘরের বারান্দায় কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। ওই বাড়িতে স্বামী পরিতক্তা সাবিনা একা থাকতেন। নিহত মহিলা ৩ সন্তানের মা। ছেলে মেয়েরা সবাই বাড়ে থাকে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত থেকে সন্তানেরা মোবাইল ফোনে মা সাবিনার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু তার ফোন রিসিভ না হলে পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা হামিদা নামের এক প্রতিবেশীকে দিয়ে সাবিনার সন্ধ্যান করার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে ১০টার পরে মহিলা খুন হয়েছে বলে খবর পায়। রাতে পরিবারের লোকেরা ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সাবিনার সাবেক স্বামী বাদশা, হামিদা ও তার মেয়ে ঋতুকে আটক করে। এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে শ্যামলী বাদি হয়ে খোকসা থানায় মামলা দায়ের করেছে।

নিহতের ছেলে বাঁধন দাবি করেন, তার মা টাকা দাদন দিতেন। সে টাকায় তার পড়া লেখার খরচ জোগান দিতেন। টাকা নিয়ে বিরোধের সূত্রধরে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। বুধবার রাত থেকে তারা ফোনে মা কে না পেয়ে তার নিকট হামিদাকে দিয়ে মায়ের সন্ধ্যান করার চেষ্টা করে। পরে তার মাধ্যমে মা খুনের ঘটনা নিশ্চিত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সাবিনা যৌনকর্মী ছিল। তার সাথে কোন খদ্দেরের বিরোধে খুন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। দেহব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে অপর দুই যৌন কর্মীর সাথে তাকেও ভ্রাম্যমান আদালত জেল জড়িমানা করেছিল। তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাকারের অভিযোগ ছিল।

খোকসা থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার আইও কাফরুজ্জামান বলেন, খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মহিলার সাবেক স্বামী ও তার একান্ত সহযোগী দুই নারীকে থানায় আনা হয়েছে। মহিলাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তে আসল খুনিদের সনাক্ত করা যাবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।