আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়াসহ জেলার ছোট বড় সবগুলো নদ নদীর পানি ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করেছে। বন্যার ফলে যেসব পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা কবলিতরা এখনও ঘরে ফিরে যেতে পারেনি।

খাদ্য ও কর্মের অভাবে গরু ছাগল নিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে তাদের দিন কাটছে। অপরদিকে বন্যার পানি কমতে থাকায় সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ১১টি পয়েন্টে নদী ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়াও জেলার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার করতোয়া ও আখিরা নদীর একাধিক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

এদিকে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বন্যার ফলে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ হাজার ১শ’ ১৬ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, পাট, আউশ ও বিভিন্ন শাক সবজির ক্ষেত বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬৪ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে তিস্তা, করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

 

আমাদের বাণী ডট কম/২১ জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।