একটি শহীদ মিনার ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগের স্মৃতির স্মারক, শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর স্থান । অথচ অবহেলা ও অযত্নে দাঁড়িয়ে আছে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলা সদরের শহীদ মিনার ।

শহীদ মিনারটির চারপাশ আবর্জনায় ও কাঁদায় সয়লাব। এই শহীদ মিনারটি দেখার যেন কেউ নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ২২ বছর আগে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয় । এরপর দীর্ঘ দিনেও আর সংস্কারের উদ্যেগ নেওয়া হয়নি। পরিচ্ছন্নতার নেওয়া হচ্ছে না কোন স্থায়ী পদক্ষেপ। বিভিন্ন দিবসগুলোতে শুধুমাত্র ইহার পরিচ্ছন্ন করা হয় এরপর আর কোন পদক্ষেপ লক্ষ করা যায় না।তারা খুব দ্রুতই নতুন একটি শহীদ মিনার নির্মান করে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরীর দাবি যানান।

গুইমারা উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক নুরুল আলম বলেন, ‘ভাষা শহীদের স্মরণে স্থাপিত শহীদ মিনারটির বেহাল অবস্থা মেনে নেওয়া যায়না।শহীদ মিনারের সম্মান ধরে রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। তরুণ প্রজন্মের কাছেও শহীদ মিনারের তাৎপর্য তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দাবি, অবিলম্বে নতুন একটি শহীদ মিনার তৈরী করে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।’

স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ইউসুফ বলেন, ‘শহীদ মিনারের জন্য প্রায় ২বছর পূর্বে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলে আমরা তার কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখছিনা। বর্তমান সময়ে শহীদ মিনারের যে অবস্থা সেখানে শ্রদ্ধা জনানোর কোন পরিবেশ নাই। ভাষার মাসেই কেবল দুদিনের জন্য শহীদ মিনারটির যত্ন নিলেই চলবে না, তা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য সদূরপ্রসারি চিন্তাভাবনা একান্ত প্রয়োজন।

সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সামনে মাথা উচু করে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে এই জরাজীর্ণ শহীদ মিনার । তার পাশ্বেই দাড়িয়ে আছে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। চারপাশে জঙ্গল ও কাঁদায় ভরপুর। জানা যায় প্রায় ২বছর আগে শহীদ মিনারের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর করা হলেও এখনো তেমন কোন পদক্ষেপ দেখেনি এলাকাবাসী।
তবে গুইমারা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেমং মারমা আশ্বাস প্রদান করে বলেন, নতুন শহীদ মিনারের প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, খুব দ্রুতই উপর মহলকে বিষয়টি অবগত করে নতুন একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে এবং শহীদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরী করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।