বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ এ ধারণা বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যান্ত ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন চিকিৎসক। এর অংশ হিসেবে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ৮২ জন নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে সদরে ১৫ জন, শৈলকুপায় ১৫ জন, হরিণাকুন্ডুতে ১৫ জন, কালীগঞ্জে ১৬ জন, কোটচাঁদপুরে ৮ জন ও মহেশপুরে ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই সংশিল্ট উপজেলার ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে পদায়ন করা হয়েছে। যারা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদাণ করবেন। কিন্তু ঘটছে তার ব্যতিক্রম। ইউনিয়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন অবকাঠামো নেই এ অজুহাতে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাচ্ছেন না পদায়নকৃতরা। থাকছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা হাসপাতালগুলোতে। যে কারণে সেবা পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষগুলো। সেই সাথে ব্যহত হচ্ছে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অরুন কুমার দাস জানান, কালীগঞ্জে ১৩ জন নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ১ জনকে বারোবাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও বাকিদের ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে পদায়ন করা হয়েছে। ইউনিয়নে পদায়নকৃতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করছেন। সেখানে বসার স্থান না থাকার কারণে চিকিৎসকরা যেতে পারছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শৈলকুপার কচুয়া ও হাটফাজিলপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘ দিন পর ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দুই জন চিকিৎসকের পদায়ন থাকলেও কেউ সেবা দিতে যাননি। পদায়ন থাকলেও তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসছেন। এতে ওই এলাকার মানুষের সেবা নিতে দুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হচ্ছে।

কচুয়া গ্রামে ব্যবসায়ী জাহিদুজ্জামান বলেন, সরকার চিকিৎসা সেবা গ্রামের মানুষের দোড়গোরায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সেখানে আসছেন না। এতে আমরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি সেই সাথে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যেটি মানুষের অগোরচরে রয়ে যাচ্ছে।

একই এলাকার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসার স্থান নেই তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ সেখানে চিকিৎক নিয়োগ দিল কিভাবে? নিয়োগ দিলে তারা কেন গ্রামে এসে চিকিৎসা দিবেন না। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে নিয়োগকৃতদের সেখানেই কাজ করতে হবে। কোন অজুহাত চলবে না। যদি এর ব্যঘাত ঘটে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।