ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) ভিপি নুরুল হক নুর ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে যোগ দেবেন। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে তিনি নিজেই কোনো দল গঠন করতে পারেন। তবে দেশে যেহেতু বড় দুইটি দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঘুরেফিরে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসছে, তাই নিজে দল গঠন না করলে এই দুই দলের যে কোনো একটিতে তিনি যোগ দিতে পারেন। অবশ্য এ জন্য নুরের একটি শর্তও আছে, যদি এই দুই দলের কার্যক্রম পরবির্তন আসে, তাহলে তিনি যোগ দেবেন।

ডয়চে ভেলের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নুর। ওই লাইভে ফেসবুক পাতায় তাকে বেশকিছু প্রশ্ন করেন অনেকে। তার জবাবও দেন তিনি।

ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনৈতিক দল গঠন করবেন কি না, একজনের এই প্রশ্নে নুর বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠন করার সক্ষমতা এখনও তৈরি হয়নি, পরিবেশ পরিস্থিতি বলে দেবে। তবে জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত হবো, সেটুকু বলতে পারি।’

এরপর আরেকজন জানতে চান, জাতীয় রাজনীতিতে যোগ দিলে পছন্দের কোনো দল আছে কি না? জবাবে নুর বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনীতিতে যে দুটো দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি তারা মুদ্রার এপিঠওপিঠ। দুটি বড় দল তো তারাই, তাদের (আওয়ামী লীগ, বিএনপি) প্রতি আমার এ মুহূর্তে রাজনীতি করার আগ্রহ নেই। তবে পরিবেশ পরিস্থিতিতে যদি দেখি তাদের কার্যক্রম পরবির্তত হচ্ছে, তাহলে হয়ত তাদের কোনো দলে যেতেও পারি।’

চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া গোলাম রাব্বানীকে ডাকসু থেকে সরে না গেলে আদালতে যাবেন কি না, এমন প্রশ্নে নুর বলেন, ‘পরিবেশ পরিস্থিতি…আশা করি, আমি শুনেছি যে তিনি পদত্যাগ করবেন। আর যদি পদত্যাগ না করেন, তবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রয়োজনে আদালত পর্যন্ত যাব। তবে আমার মনে হয় সেটা করতে হবে না। কারণ, ডাকসুর এক্সিকিউিটভ মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। উপাচার্যের একক ক্ষমতা দেয়া আছে, তিনি চাইলে এমন অভিযোগে বা যে কেউ দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। উপাচার্য নৈতিক জায়গা থেকে পিছুপা হবেন না বলে আমি মনে করি।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।