তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডের ৭ বছর পূর্তিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে তাজরীনের মালিকের সর্বোচ্চ শাস্তি, নিরাপদ কর্মপরিষদ, কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু হলে শ্রমিককে আজীবন আয়ের সমান ৪৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রবিবার বেলা ১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক কামাল পারভেজ মিঠু, বিসিক শাখার সভাপতি নূর হোসেন, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহসিন হোসেন, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

তাজরীন গার্মেন্টসতাজরীন গার্মেন্টস

নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন থেকে ৬ বছর আগে সাভারে তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জন মুত্যুবরণ করেন। মালিকের অতি মুনাফার লোভই এই মৃত্যুর কারণ। মালিকের অবহেলায় এ মৃত্যু হত্যাকা-ের সামিল। দাবি উঠেছিল আর যেন এমন ঘটনা না হয় তার জন্য মালিককে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকা- ও পরবর্তীতে রানা প্লাজা ট্রাজেডির ঘটনায় দায়ীদের এখনো কোন শাস্তি হয়নি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দেশে সংশোধিত শ্রম আইন ২০১৮-তে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ মাত্র ২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত। আদালতে বেশ কিছু মামলায় মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ আজীবন আয় হিসাব করে ক্ষতিপূরণের রায় হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু হলে শ্রমিককে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আজকের বাস্তবতায় আমরা হিসাব করে দেখেছি এটা কমপক্ষে ৪৮ লক্ষ টাকা হবে। মালিকের অবহেলায় মৃত্যু হলে দায়ী মালিককে সর্বোচ্চ শাস্তি, কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু হলে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণের বিধান করলে এ ধরণের মৃত্যু বন্ধ হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।