রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাসা ভাড়া করে অশ্লীল ভিডিও চ্যাটিং কারবার চালাচ্ছিল একটি চক্র। মধ্যরাতে দুই তরুণীসহ ওই চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাটোরের আলাইপুরের মেহেদী হাসান (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গার হাবিবা খাতুন (১৭) ও একই উপজেলার দুর্গাপুরের মোছা. সুরভী বেগম (১৮)।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আকতার জানান, ইন্টারনেটে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের এই দণ্ড দেয়া হয়। পরে পুলিশ তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়।

জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গোদাগাড়ী সার্কেল) আবদুর রাজ্জাক জানান, তিন মাস আগে মেহেদী হাসান এবং ওই দুই তরুণী মেডিকেল মোড় এলাকার মজিবুর রহমানের বাড়ির দুটি কক্ষ ভাড়া নেন। সেখানে তারা বসবাস করলেও কারো সঙ্গে মিশতেন না। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সন্দেহজনক হওয়ায় তারা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে বুধবার মধ্যরাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

এ সময় অশ্লীল ভিডিও চ্যাটিংরত অবস্থায় দুই তরুণীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় এই কাজে ব্যবহৃত দুটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার, ৩৫টি মোবাইল সিম কার্ড এবং ২৫টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র।

জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা পুলিশকে জানান, ভাইবার, ইমো, ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন জনের সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও চ্যাটিং করে আসছিলেন। বিভিন্ন বিদেশি চ্যাটিং সাইটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা। কাছে থাকা মোবাইল নম্বরগুলো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন যোগাযোগের জন্য। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলেও বিকাশের মাধ্যমে মোটা অর্থ নিয়ে ঘণ্টা চুক্তিতে অশ্লীল ভিডিও চ্যাটিং করতেন তারা।

পুলিশ কর্মকর্তা আবদুর রজ্জাক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কৌশলে এই অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছিল চক্রটি। ‘চ্যাটিং জব’ এর জন্য সুন্দরী নারী খুঁজছিল চক্রটি। এনিয়ে তারা বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। এর একটি কপি ওই ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিনে ১০ ঘণ্টা ভিডিও চ্যাটিংয়ের বিনিময়ে মাসে ২৩৮০০ টাকা বেতন দেয়ার লোভনীয় অফার দেয়া হয়েছে তাতে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।