বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) কর্মবিরতি পালন করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের মোট ১৪টি সংগঠন সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: বদরুল আলম জানান, প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ও সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার দাবিতে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সারাদেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত তিন ঘন্টার কর্মবিরতি চলবে। বুধবার এসব বিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। পরদিন ১৭ অক্টোবর পূর্ণ দিবস কর্ম বিরতিতে যাবেন শিক্ষকরা। এরপরেও দাবি আায় না হলে ২৩ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ করে সেখান থেকে দাবি আায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসুচি পালন শুরু করবেন তারা।

বেতন বৈষম্য নিরসনে গত ২৯ জুলাই বেতন বাড়ানোর এই প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৮ সেপ্টেম্বর তা নাকচ করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর সারাদেশের শিক্ষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কর্মসুচি ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে বেতন পান। তাদেরকে দশম গ্রেডে উন্নীত করতে চেয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর সহকারি শিক্ষকরা পান ১৪তম গ্রেডে বেতন। তারা ১২তম গ্রেডে উন্নীতের প্রস্তাব করা হয়েছিল।

বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোকে ৩ লাখ ২৫ হাজার সহকারি শিক্ষক ও ৪২ হাজার প্রধান শিক্ষক রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে নেওয়া দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বেতন নিয়ে অসন্তোষ সহকারি শিক্ষকদের ভেতরেও।তারাও গ্রেড উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।